মসজিদ নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

পাবনা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি : সংগৃহীত

পাবনার বেড়ায় মসজিদ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় হাফিজুর রহমান নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রায় ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন এবং একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার সকালে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহত হাফিজুর রহমান হাফিজ বেড়ার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তারাপুর গ্রামে আগে থেকেই দুটি মসজিদ রয়েছে—একটি ‘পুরানো মসজিদ’ এবং অন্যটি সম্প্রতি নির্মিত ‘নতুন মসজিদ’। কয়েক বছর আগে কিয়াম পড়া নিয়ে মতবিরোধের জেরে নতুন মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। পুরানো মসজিদের একাংশের সদস্য এবং সাবেক ক্যাশিয়ার মতিন ‘কিয়াম’-এর পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন মসজিদের পক্ষে অবস্থান নেন।

সম্প্রতি নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বারান্দা নির্মাণের কাজ শুরু হলে বিরোধপূর্ণ অপর পক্ষ বাধা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের ২০০ থেকে ২৫০ জন লাঠিসোটা, হাঁসুয়া ও টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাফিজুর রহমান হাফিজকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর পর শনিবার বিকেলে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রায় ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। কিছু বাড়িতে লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সেলিম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মসজিদ নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত

পাবনার বেড়ায় মসজিদ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় হাফিজুর রহমান নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রায় ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন এবং একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার সকালে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহত হাফিজুর রহমান হাফিজ বেড়ার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তারাপুর গ্রামে আগে থেকেই দুটি মসজিদ রয়েছে—একটি ‘পুরানো মসজিদ’ এবং অন্যটি সম্প্রতি নির্মিত ‘নতুন মসজিদ’। কয়েক বছর আগে কিয়াম পড়া নিয়ে মতবিরোধের জেরে নতুন মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। পুরানো মসজিদের একাংশের সদস্য এবং সাবেক ক্যাশিয়ার মতিন ‘কিয়াম’-এর পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন মসজিদের পক্ষে অবস্থান নেন।

সম্প্রতি নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বারান্দা নির্মাণের কাজ শুরু হলে বিরোধপূর্ণ অপর পক্ষ বাধা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের ২০০ থেকে ২৫০ জন লাঠিসোটা, হাঁসুয়া ও টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাফিজুর রহমান হাফিজকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর পর শনিবার বিকেলে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রায় ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। কিছু বাড়িতে লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সেলিম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।