স্ত্রীকে ভিডিওকলে রেখে নিজেকে শেষ করে দিলেন প্রবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৬:১৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে ঝগড়ার একপর্যায়ে তাকে লাইভে রেখেই আত্মহত্যা করেছেন রুমন নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসী। বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ১২টায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে ওমানের সালালাহ এলাকায়।

রোববার (২৭ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন।নিহত রুমন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ইশানচন্দ্র গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভায়রা ও একই ফ্যাক্টরির সহকর্মী ওবায়দুল হক।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে খালাতো বোন পান্না আক্তারের সঙ্গে রুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র চার মাস পরই জীবিকার সন্ধানে রুমন ওমানে চলে যান। তাদের সংসারে রয়েছে এক কন্যাসন্তান। ঘটনার দিন স্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস দেন রুমন।

নিহতের ভাই আবদুল মমিন জানান, বিয়ের পর ভাই শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ভাই প্রবাসে থাকার সুযোগে ভাবির আচরণ নিয়ে আমরা বহুবার শঙ্কিত হই। কিন্তু স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী মহলের কারণে কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি।

রুমনের স্ত্রী পান্না আক্তার বলেন, ওই মুহূর্তে আমি অসহায় হয়ে পড়ি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মামাতো বোনের স্বামী ওবায়দুলকে বিষয়টি জানাই। যিনি কাছেই কাজ করছিলেন। তিনি গিয়ে রুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহতের মা বলেন, আমি নিজেই বোনের মেয়েকে শখ করে বউ করে ঘরে এনেছিলাম। বিয়ের পর থেকে তারা আলাদা থাকে। আমার খোঁজখবর রাখতো না। পরে শুনি আমার পুত্রবধূ পরকীয়ায় জড়িয়েছে। যদি এ কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন বলেন, প্রবাসীর আত্মহত্যার ঘটনাটি মোবাইল ফোনে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্ত্রীকে ভিডিওকলে রেখে নিজেকে শেষ করে দিলেন প্রবাসী

আপডেট সময় : ০৬:১৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে ঝগড়ার একপর্যায়ে তাকে লাইভে রেখেই আত্মহত্যা করেছেন রুমন নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসী। বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ১২টায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে ওমানের সালালাহ এলাকায়।

রোববার (২৭ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন।নিহত রুমন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ইশানচন্দ্র গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভায়রা ও একই ফ্যাক্টরির সহকর্মী ওবায়দুল হক।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে খালাতো বোন পান্না আক্তারের সঙ্গে রুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র চার মাস পরই জীবিকার সন্ধানে রুমন ওমানে চলে যান। তাদের সংসারে রয়েছে এক কন্যাসন্তান। ঘটনার দিন স্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস দেন রুমন।

নিহতের ভাই আবদুল মমিন জানান, বিয়ের পর ভাই শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ভাই প্রবাসে থাকার সুযোগে ভাবির আচরণ নিয়ে আমরা বহুবার শঙ্কিত হই। কিন্তু স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী মহলের কারণে কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি।

রুমনের স্ত্রী পান্না আক্তার বলেন, ওই মুহূর্তে আমি অসহায় হয়ে পড়ি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মামাতো বোনের স্বামী ওবায়দুলকে বিষয়টি জানাই। যিনি কাছেই কাজ করছিলেন। তিনি গিয়ে রুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহতের মা বলেন, আমি নিজেই বোনের মেয়েকে শখ করে বউ করে ঘরে এনেছিলাম। বিয়ের পর থেকে তারা আলাদা থাকে। আমার খোঁজখবর রাখতো না। পরে শুনি আমার পুত্রবধূ পরকীয়ায় জড়িয়েছে। যদি এ কারণে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন বলেন, প্রবাসীর আত্মহত্যার ঘটনাটি মোবাইল ফোনে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।