নিখোঁজের ৫ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল নারীর মরদেহ

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর দক্ষিণগ্রাম এলাকায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় ফেরদৌসী বেগম নয়ন (৫০) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে স্থানীয়রা টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে বস্তাবন্দি মরদেহের সন্ধান পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন গত শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ১০টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজে বেড়ালেও কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে বুড়িচং থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

পাঁচ দিন পর তার মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে বস্তায় ভরা অবস্থায় পাওয়া গেলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

নিহতের ছেলে ইকরামুলসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ফেরদৌসী বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় পারিবারিক বিরোধের সূত্র ধরেই হত্যাকাণ্ডের কারণ থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।

ঘটনাস্থল থেকে নিহতের দেবর আলমগীর হোসেন ও প্রবাসী জাহাঙ্গীরের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, দক্ষিণগ্রাম থেকে ফেরদৌসী বেগম নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিখোঁজের ৫ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল নারীর মরদেহ

আপডেট সময় : ০৬:০৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর দক্ষিণগ্রাম এলাকায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় ফেরদৌসী বেগম নয়ন (৫০) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে স্থানীয়রা টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে বস্তাবন্দি মরদেহের সন্ধান পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন গত শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ১০টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজে বেড়ালেও কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে বুড়িচং থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

পাঁচ দিন পর তার মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে বস্তায় ভরা অবস্থায় পাওয়া গেলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

নিহতের ছেলে ইকরামুলসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ফেরদৌসী বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় পারিবারিক বিরোধের সূত্র ধরেই হত্যাকাণ্ডের কারণ থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।

ঘটনাস্থল থেকে নিহতের দেবর আলমগীর হোসেন ও প্রবাসী জাহাঙ্গীরের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, দক্ষিণগ্রাম থেকে ফেরদৌসী বেগম নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত আছে।