লোকালয়ে জোয়ারের পানি, সৈকতের অন্তত ১০ পয়েন্টে ভাঙন

- আপডেট সময় : ০৯:৫২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি:সংগৃহীত
কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়ে কুতুবদিয়া-মহেশখালীসহ উপকূলীয় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) ও গত দু’দিনে সাগরের তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে কক্সবাজার সৈকতের অন্তত ১০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও কলাতলীসহ একাধিক পর্যটন স্পট। ঢেউয়ের তোড়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের অস্থায়ী স্থাপনা ভেঙে গেছে এবং ঝড়ো হাওয়ায় উপড়ে গেছে ঝাউগাছ।
এছাড়া টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। টেকনাফ অংশ এবং উখিয়ার পাটুয়ারটেক এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্লাবিত হয়েছে কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইলের আনিসের ডেইল, তাবলর চর, কাহারপাড়া, সাইটপাড়া ও বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশপাশের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও পুকুর। মহেশখালীর ধলঘাটা ও মাতারবাড়ির নিম্নাঞ্চলও পানিতে তলিয়ে গেছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াই প্রু মারমা বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে।
এদিকে জোয়ারের পানি ঢুকেছে টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের লোকালয়েও। দ্বীপের উত্তর পাড়া ও পশ্চিম প্রান্তে পর্যটন রিসোর্ট হুমকির মুখে পড়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড কর্মীরা জানান, সমুদ্রে গোসলে নামা পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে এবং হাঁটু পানির ওপরে না নামতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।