জুয়ার টাকার জন্য হত্যা করা হয় কলেজছাত্রকে

- আপডেট সময় : ১০:৪৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি:সংগৃহীত
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকিয়াছড়া চা-বাগানে কলেজছাত্র হৃদয় আহমেদ ইয়াছিন হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ। অনলাইন জুয়ার টাকার জন্য শ্রীমঙ্গলের কলেজছাত্র হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকারীদের কাছ থেকে টাকা এনে অনলাইনে জুয়া খেলে তা ফেরত না দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গামছা, স্কুল ব্যাগ, মোবাইল ও নিহতের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, নিহত হৃদয় আহমেদ ইয়াছিন কমলগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন এবং শ্রীমঙ্গল কালীঘাট রোড এলাকায় ওয়াইফাই অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। অনলাইনে জুয়ায় আসক্ত হয়ে তিনি বন্ধুর কাছ থেকে ধার নেওয়া টাকার দেনায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত ৭ জুলাই শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট ইউনিয়নের কাকিয়াছড়া চা বাগানে একটি গাছের নিচে বেল্ট দিয়ে বাঁধা অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি গাছের সঙ্গে গলায় বেল্ট পেঁচানো অবস্থায় একটি মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানার মামলা করা হয়। ঘটনার তদন্ত করে এ হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রাজাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. কাজল মিয়া এবং মো. সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এরা দুজনই মাদকাসক্ত। এদের সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গামছা, স্কুল ব্যাগ, মোবাইল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত কাজল মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি পেশায় টমটম চালক। আর গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল ইসলামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়