শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা উৎসাহব্যঞ্জক

- আপডেট সময় : ১১:১২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হয়েছে তা উৎসাহব্যঞ্জক। দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শেষ করে আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি তৃতীয় রাউন্ডের আলোচনার জন্য। আমরা আশা করছি একটা ভালো আউটকাম আসবে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ অ্যাগ্রিমেন্টের খসড়াবিষয়ক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দ্বিতীয় রাউন্ডের আলোচনা শেষ করে আমরা রোববার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছি। বৈঠকে হওয়া আলোচনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আলোচনা শেষ করে আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি তৃতীয় রাউন্ডের আলোচনার জন্য। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাব। আমরা আশা করছি একটা ভালো আউটকাম আসবে।
আলোচনাটা যথেষ্ট এনগেজিং ছিল দাবি করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার বৈঠক হয়েছে। দফাওয়ারি আমাদের সঙ্গে যারা নেগোশিয়েশনে যুক্ত ছিলেন তাদের ৩৫-৪০ জনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের মধ্যে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। আমরা সেখান থেকে বেশকিছু পরামর্শ পেয়েছি। অবশ্য এ পরামর্শগুলো আমরা আমাদের মধ্যেই নির্দিষ্ট রাখব। আমরা আশা করছি এই আলোচনার মাধ্যমে আমাদের জন্য একটি যৌক্তিক শুল্কহার নির্ধারণ করবে রপ্তানির ওপরে।
২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ শুল্ক পরিশোধ করে ব্যবসা করছে মন্তব্য করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করি। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব সক্ষমতার ভিত্তিতে এই ব্যবসা করে থাকে। যদি তুলনামূলক ভাবে আমাদের সঙ্গে কোনো বৈষম্যমূলক অবস্থান তৈরি না হয় তাহলে আমাদের ব্যবসায়ীরা সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাবে।
নেগোশিয়েশনের কোন পর্যায়ে বাংলাদেশ রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ‘নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ রয়েছে। সুতরাং অ্যাগ্রিমেন্ট বিষয়ক কোনো প্রশ্নের উত্তর আমরা দেব না। আমরা তো আলোচনা করি। আমাদের তো আশা আছে এটাকে (শুল্কহার) শূন্যতে নিয়ে আসার।