ছবি:সংগৃহীত
প্রথম সাক্ষাতেই হাইস্কুলের এক ছাত্রকে মনে ধরে গিয়েছিল শিক্ষিকার৷ এরপর কাউন্সিলিংয়ের এক পর্যায়ে ওই ছাত্রকে নিজের মনের বাসনার কথা জানিয়েও দেন তিনি৷ তিনি যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহী, নিজের ছাত্রকে তা বলতেও দ্বিধা বোধ করেননি হিদার হেয়ার নামের ওই শিক্ষিকা৷ এরপর অন্তত ২০ থেকে ৩০ বার নিজের ছাত্রের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তিনি৷
শেষ পর্যন্ত অবশ্য হিদারের এই কুকীর্তি সামনে চলে আসে৷ তাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ৷ স্কুলের মধ্যেই ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ বয়সী এই শিক্ষিকাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷ আদালতের কাছে কাকুতি মিনতি করেও ছাড় পাননি তিনি৷
জানা গেছে, স্কুলের ক্লাস রুম, পার্কিং লট, গাড়ির ভিতরে যখনই যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, ওই ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন হিদার৷ এমন কি, ওই ছাত্রকে নিয়ে হোটেলেও সময় কাটিয়েছেন তিনি৷ ২০২২ সালে স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে ওয়াশিংটনে শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েও ওই ছাত্রের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হন ওই শিক্ষিকা৷
নিউ ইয়র্ক পোস্টসহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই ছাত্রের সঙ্গে ২০২১ সালে পরিচয় হয় হিদারের৷ ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের আরকানকাসে৷ পরিচয়ের পরই একক ভাবে কাউন্সিলিংয়ের নামে ওই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেন ওই শিক্ষিকা৷ কেউ কিছু জানতে পারবে না বলেও ছাত্রকে আশ্বাস দেন তিনি৷
শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে হিদারকে নাবালক ছাত্রকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
বিচারপ্রক্রিয়ার শেষে তাকে ১৩ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেয় আদালত৷ জেল থেকে মুক্তির পরেও আজীবন ওই শিক্ষিকার উপরে নজরদারি চলবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷