চীনে ‘কুৎসিত পণ্যের’ প্রদর্শনী শুরু, তরুণদের ভিড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি: সংগৃহীত

চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের হাংঝৌ শহরে এক অভিনব প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে এরা অব আগলিস হ্যাজ অ্যারাইভড বা কুৎসিত সৌন্দর্যের যুগ। এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে এমন সব অদ্ভুত, অপ্রচলিত ও হাস্যকর পণ্য, যেগুলো চীনের অনলাইন বাজারে বিপুল জনপ্রিয়।

এই বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রদর্শনী আয়োজন করেছে আলিবাবার মালিকানাধীন ই-কমার্স জায়ান্ট টাওবাও। এ বছরই প্রথমবারের মতো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে ৩০০টিরও বেশি অদ্ভুত পণ্য, যেগুলো টাওবাওয়ের বার্ষিক ‘আগলি স্টাফ কম্পিটিশন’ বা ‘আগলিস অ্যাওয়ার্ডস’-এ মনোনীত কিংবা বিজয়ী হয়েছিল স্থান পেয়েছে।

প্রদর্শনীতে রয়েছে বাঁধাকপির পাতার মতো দেখতে স্যান্ডেল, অদ্ভুত আকৃতির বিড়ালের বালিশসহ নানা বিচিত্র জিনিস। এই কারণে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজারেরও বেশি দর্শক প্রদর্শনীতে ভিড় জমাচ্ছেন।

প্রকল্প প্রধান ইউ হু জানান, ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই ধরনের “কুৎসিত” পণ্যের বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০ কোটি ইউয়ানেরও বেশি (প্রায় ১৩.৯৪ মিলিয়ন ডলার)। বর্তমানে এ খাতের বিক্রি দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ হারে বাড়ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণ প্রজন্মই এসব পণ্যের মূল ক্রেতা। তারা প্রচলিত সৌন্দর্যের ধারণা ভেঙে নিজের ব্যক্তিত্ব ও স্বকীয়তা প্রকাশ করতে চায়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে তারা খুঁজছে সস্তা কিন্তু আলাদা ধাঁচের কিছু, যা বলা হচ্ছে “ইমোশনাল কনজাম্পশন” বা আবেগঘন ভোগব্যয়।

ইউ হু বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই আবেগভিত্তিক ভোগব্যয় এক ধরনের ‘ব্লু ওশান’ হয়ে উঠেছে, যা নতুন বাজার তৈরি করছে।

এই ট্রেন্ডের সবচেয়ে আলোচিত পণ্য হলো ‘লাবুবু’ নামের আগলি-কিউট অ্যাক্সেসরিজ। বড় বড় চোখ আর দাঁত বের করা হাসির জন্য এটি তরুণদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। শুধু তরুণরা নয়, আন্তর্জাতিক তারকা রিহানা ও ডেভিড বেকহ্যামও এই পণ্যের ভক্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রদর্শনী শুধু অদ্ভুত জিনিস দেখার সুযোগ নয়, বরং সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নিয়ে নতুন করে ভাবার একটি প্ল্যাটফর্ম।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনে ‘কুৎসিত পণ্যের’ প্রদর্শনী শুরু, তরুণদের ভিড়

আপডেট সময় : ০৮:০০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের হাংঝৌ শহরে এক অভিনব প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে এরা অব আগলিস হ্যাজ অ্যারাইভড বা কুৎসিত সৌন্দর্যের যুগ। এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে এমন সব অদ্ভুত, অপ্রচলিত ও হাস্যকর পণ্য, যেগুলো চীনের অনলাইন বাজারে বিপুল জনপ্রিয়।

এই বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রদর্শনী আয়োজন করেছে আলিবাবার মালিকানাধীন ই-কমার্স জায়ান্ট টাওবাও। এ বছরই প্রথমবারের মতো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে ৩০০টিরও বেশি অদ্ভুত পণ্য, যেগুলো টাওবাওয়ের বার্ষিক ‘আগলি স্টাফ কম্পিটিশন’ বা ‘আগলিস অ্যাওয়ার্ডস’-এ মনোনীত কিংবা বিজয়ী হয়েছিল স্থান পেয়েছে।

প্রদর্শনীতে রয়েছে বাঁধাকপির পাতার মতো দেখতে স্যান্ডেল, অদ্ভুত আকৃতির বিড়ালের বালিশসহ নানা বিচিত্র জিনিস। এই কারণে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজারেরও বেশি দর্শক প্রদর্শনীতে ভিড় জমাচ্ছেন।

প্রকল্প প্রধান ইউ হু জানান, ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই ধরনের “কুৎসিত” পণ্যের বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০ কোটি ইউয়ানেরও বেশি (প্রায় ১৩.৯৪ মিলিয়ন ডলার)। বর্তমানে এ খাতের বিক্রি দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ হারে বাড়ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণ প্রজন্মই এসব পণ্যের মূল ক্রেতা। তারা প্রচলিত সৌন্দর্যের ধারণা ভেঙে নিজের ব্যক্তিত্ব ও স্বকীয়তা প্রকাশ করতে চায়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে তারা খুঁজছে সস্তা কিন্তু আলাদা ধাঁচের কিছু, যা বলা হচ্ছে “ইমোশনাল কনজাম্পশন” বা আবেগঘন ভোগব্যয়।

ইউ হু বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই আবেগভিত্তিক ভোগব্যয় এক ধরনের ‘ব্লু ওশান’ হয়ে উঠেছে, যা নতুন বাজার তৈরি করছে।

এই ট্রেন্ডের সবচেয়ে আলোচিত পণ্য হলো ‘লাবুবু’ নামের আগলি-কিউট অ্যাক্সেসরিজ। বড় বড় চোখ আর দাঁত বের করা হাসির জন্য এটি তরুণদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। শুধু তরুণরা নয়, আন্তর্জাতিক তারকা রিহানা ও ডেভিড বেকহ্যামও এই পণ্যের ভক্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রদর্শনী শুধু অদ্ভুত জিনিস দেখার সুযোগ নয়, বরং সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নিয়ে নতুন করে ভাবার একটি প্ল্যাটফর্ম।