বয়স চুরি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে বিসিসিআই

- আপডেট সময় : ১০:১২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
বয়স জালিয়াতি ঠেকাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। খেলোয়াড়দের বয়স যাচাইয়ের জন্য এবার একটি বহিরাগত পেশাদার সংস্থা নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সম্প্রতি বিসিসিআই একটি আরএফপি (রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যেখানে স্বনামধন্য সংস্থাগুলোকে আবেদন করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, নির্বাচিত সংস্থাটি আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।
যদিও বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানানো হয়নি, ধারণা করা হচ্ছে—সম্প্রতি কিছু সন্দেহজনক বয়স সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বোর্ড। মূল লক্ষ্য হলো, বয়স যাচাই প্রক্রিয়ায় আরও পেশাদারিত্ব আনা এবং অতিরিক্ত বয়সের খেলোয়াড়দের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ প্রতিরোধ করা।
বিসিসিআই সাধারণত দুই স্তরের বয়স যাচাই ব্যবস্থা অনুসরণ করে।
১. প্রথম ধাপে খেলোয়াড়ের জমা দেওয়া জন্ম সনদ ও অন্যান্য নথিপত্র পর্যালোচনা করা হয়।
২. দ্বিতীয় ধাপে প্রয়োজনে হাড়ের পরীক্ষা (বোন টেস্ট) করা হয়।
এই যাচাইকরণ সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব-১৬ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
বিসিসিআই-এর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগ্রহী সংস্থাগুলোর—কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবোর্ড বা নিয়োগ সংস্থার মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য কমপক্ষে তিন বছরের ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাইকরণ অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। গ্রামীণ এলাকাতেও মাঠপর্যায়ে যাচাই করার সক্ষমতা থাকতে হবে।
বিসিসিআই সাধারণত জুলাই ও আগস্টে বয়স যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে এবার নতুন সংস্থার কার্যক্রম শুরুর কারণে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি চলতে পারে। উল্লেখ্য, এই যাচাই রাজ্যভিত্তিকভাবে পরিচালিত হয়।
অসুস্থ সমর্থকের জন্য মাঠে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ইংল
এর আগে এই বয়স যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বিসিসিআই নিজেরাই পরিচালনা করত। এবার বহিরাগত সংস্থাকে যুক্ত করার সিদ্ধান্তে বোঝা যাচ্ছে, বোর্ড এখন বিষয়টিকে আরও দৃঢ়তা, স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করতে চান।