সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::

এবার চীন থেকে ভয়ংকর যুদ্ধ হেলিকপ্টার কিনছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক ইতিহাসের ভয়াবহতম সংঘাতে জড়ানোর পর থেকেই নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়ানোতে গভীর মনোযোগ দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এরই মধ্যে সামরিক খাতের বাজেট কয়েকগুণ বাড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। অন্যদিকে সাম্প্রতিক এ সংঘাতে পাকিস্তানের ভরসা অর্জনে শতভাগ সফল হয়েছে চীনা প্রযুক্তি। তাই সমরাস্ত্রের জন্য চীনের ওপর নির্ভরতাও বাড়ছে দেশটির। এর সবশেষ নজির, নিজেদের সামরিক বাহিনীকে ৪০ বছর ধরে সার্ভিস দিয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এএইচ-১এফ কোবরার বহরকে চীনের জেড-১০এমই অ্যাটাক হেলিকপ্টার দিয়ে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। 

এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের তৈরি অত্যাধুনিক এ যুদ্ধ হেলিকপ্টার নিজেদের সামরিক বহরে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং শনিবার (১ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন মুজাফফরগড় ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে জেড-১০এমই হেলিকপ্টারগুলোর একটি লাইভ ফায়ারপাওয়ার প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ করেছেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির।

পাকিস্তান ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) অনুসারে, উন্নত রাডার সিস্টেম এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত জেড-১০এমই হেলিকপ্টারগুলো সব ধরনের আবহাওয়ায় নির্ভুল স্ট্রাইক মিশন পরিচালনার জন্য ডিজাইন করেছে চীন। এই হেলিকপ্টার আকাশ এবং স্থল উভয় ক্ষেত্রে হুমকির বিরুদ্ধে পাকিস্তান আর্মি এভিয়েশনের অপারেশনাল ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ১৯৮০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এএইচ-১এফ কোবরা হেলিকপ্টার তাদের সামরিক বাহিনীতে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু, বেশ কয়েক বছর ধরে এই হেলিকপ্টার আপগ্রেড করার চেষ্টা করছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে এক দশক আগে, অর্থাৎ ২০১৫ সালে পাকিস্তানের কাছে বেল এএইচ-১জেড ভাইপার হেলিকপ্টার বিক্রি করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে স্থগিত রাখা হয় চুক্তিটি।

এ অবস্থায় পাকিস্তানের কাছে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি জেড-১০ হেলিকপ্টার নিয়ে হাজির হয় চীন। ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনার জন্য পাকিস্তানকে তিনটি জেড-১০ অ্যাটাক হেলিকপ্টার দেয় দেশটি। সেই সময়ে তাদের হেলিকপ্টারে যুক্ত ছিল ডব্লিউজেড-৯ ইঞ্জিন, যা অপর্যাপ্ত বলে মনে করে পাকিস্তান। এর ফলে চীনা প্রকৌশলীরা জেড-১০ প্ল্যাটফর্মে আপগ্রেড করেন। এরপর জেড-১০এমই প্রোটোটাইপটি প্রস্তুত করা হয়, যাতে যুক্ত করা হয় আরও শক্তিশালী ডব্লিউজেড-৯সি ইঞ্জিন। সেইসঙ্গে একে সাজানো হয় আরও বেশি পরিমাণ গোলাবারুদ বহনে সক্ষম ম্যাগাজিন এবং একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতির সতর্কতা ব্যবস্থা (এমএডব্লিউএস) দিয়ে।

চীন বা পাকিস্তান কেউই কোনও চুক্তিতে না পৌঁছালেও, সাম্প্রতিক তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, এরই মধ্যে প্রাথমিক উৎপাদন এবং পরীক্ষামূলক পর্যায় অতিক্রম করে ফেলেছে প্রোগ্রামটি।

এদিকে, ভারতকে ইতোমধ্যে সর্বাধুনিক অ্যাপাচি এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টার সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেমে গেছে আরও তলানিতে। আর এটা বড় এক সুযোগ হয়ে এসেছে চীনের জন্য। যার প্রমাণ, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে তাদের জেড-১০এমই যুদ্ধ হেলিকপ্টার।

জেড-১০ হেলিকপ্টারগুলো তৈরি করছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত চাংহে এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন। এগুলো মাঝারি ওজনের আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার যা ট্যাঙ্ক-বিরোধী অভিযান এবং সীমিত আকাশ থেকে আকাশে যুদ্ধের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

এই হেলিকপ্টারগুলোর একেকটির দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার (৪৬ ফুট), রোটর ব্যাস ১৩ মিটার (৪৩ ফুট) এবং এগুলো প্রায় ১,৬০০ হর্সপাওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ডব্লিউজেড-৯সি টার্বোশ্যাফ্ট ইঞ্জিন দ্বারা চালিত।

এই সিরিজের প্রতিটি হেলিকপ্টার একটি ঘূর্ণায়মান কামান, নির্দেশিত এবং অনির্দেশিত বোমা, মাল্টি-ডোমেন মিসাইল এবং লোটারিং যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা যেতে পারে।

জেড-১০ এর অপারেশনাল উচ্চতা ৬,৪০০ মিটার (২০,৯৯৭ ফুট), সর্বোচ্চ গতি ১৬০ নট (২৯৬ কিলোমিটার/১৮৪ মাইল প্রতি ঘন্টা) এবং এর পরিসীমা ৪৩০ নটিক্যাল মাইল (৭৯৬ কিলোমিটার/৪৯৫ মাইল)।

বর্তমানে নিজেদের বহরে প্রায় ২০০টি জেড-১০ হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি।

ফু কিয়ানশাও নামে চীনের এক সামরিক বিশেষজ্ঞ বলেন, এই প্রথম জেড-১০এমই যুদ্ধ হেলিকপ্টারের রপ্তানির চুক্তি করতে যাচ্ছে চীন। এই হেলিকপ্টারটি উল্লম্বভাবে উড়তে এবং অবতরণ করতে পারে এবং ঘোরাফেরা করতে পারে। পাকিস্তান এটিকে নিজেদের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে দারুণভাবে কাজে লাগাতে পারবে। প্রতিটি জেড-১০এমই হেলিকপ্টার রকেট, ট্যাঙ্ক-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ঐতিহ্যবাহী নিরাপত্তা মিশনের জন্য আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত হতে পারে।

ঝাং জুয়েফেং নামে আরেক চীনা বিশেষজ্ঞ বলেন, জেড-১০এমই হেলিকপ্টারের অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে, যা এটিকে বিশ্বের সেরা মাঝারি আকারের আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টারগুলোর মধ্যে অতুলনীয় করে তুলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এবার চীন থেকে ভয়ংকর যুদ্ধ হেলিকপ্টার কিনছে পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক ইতিহাসের ভয়াবহতম সংঘাতে জড়ানোর পর থেকেই নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়ানোতে গভীর মনোযোগ দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এরই মধ্যে সামরিক খাতের বাজেট কয়েকগুণ বাড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। অন্যদিকে সাম্প্রতিক এ সংঘাতে পাকিস্তানের ভরসা অর্জনে শতভাগ সফল হয়েছে চীনা প্রযুক্তি। তাই সমরাস্ত্রের জন্য চীনের ওপর নির্ভরতাও বাড়ছে দেশটির। এর সবশেষ নজির, নিজেদের সামরিক বাহিনীকে ৪০ বছর ধরে সার্ভিস দিয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এএইচ-১এফ কোবরার বহরকে চীনের জেড-১০এমই অ্যাটাক হেলিকপ্টার দিয়ে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। 

এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের তৈরি অত্যাধুনিক এ যুদ্ধ হেলিকপ্টার নিজেদের সামরিক বহরে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং শনিবার (১ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন মুজাফফরগড় ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে জেড-১০এমই হেলিকপ্টারগুলোর একটি লাইভ ফায়ারপাওয়ার প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ করেছেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির।

পাকিস্তান ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) অনুসারে, উন্নত রাডার সিস্টেম এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত জেড-১০এমই হেলিকপ্টারগুলো সব ধরনের আবহাওয়ায় নির্ভুল স্ট্রাইক মিশন পরিচালনার জন্য ডিজাইন করেছে চীন। এই হেলিকপ্টার আকাশ এবং স্থল উভয় ক্ষেত্রে হুমকির বিরুদ্ধে পাকিস্তান আর্মি এভিয়েশনের অপারেশনাল ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ১৯৮০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এএইচ-১এফ কোবরা হেলিকপ্টার তাদের সামরিক বাহিনীতে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু, বেশ কয়েক বছর ধরে এই হেলিকপ্টার আপগ্রেড করার চেষ্টা করছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে এক দশক আগে, অর্থাৎ ২০১৫ সালে পাকিস্তানের কাছে বেল এএইচ-১জেড ভাইপার হেলিকপ্টার বিক্রি করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে স্থগিত রাখা হয় চুক্তিটি।

এ অবস্থায় পাকিস্তানের কাছে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি জেড-১০ হেলিকপ্টার নিয়ে হাজির হয় চীন। ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনার জন্য পাকিস্তানকে তিনটি জেড-১০ অ্যাটাক হেলিকপ্টার দেয় দেশটি। সেই সময়ে তাদের হেলিকপ্টারে যুক্ত ছিল ডব্লিউজেড-৯ ইঞ্জিন, যা অপর্যাপ্ত বলে মনে করে পাকিস্তান। এর ফলে চীনা প্রকৌশলীরা জেড-১০ প্ল্যাটফর্মে আপগ্রেড করেন। এরপর জেড-১০এমই প্রোটোটাইপটি প্রস্তুত করা হয়, যাতে যুক্ত করা হয় আরও শক্তিশালী ডব্লিউজেড-৯সি ইঞ্জিন। সেইসঙ্গে একে সাজানো হয় আরও বেশি পরিমাণ গোলাবারুদ বহনে সক্ষম ম্যাগাজিন এবং একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতির সতর্কতা ব্যবস্থা (এমএডব্লিউএস) দিয়ে।

চীন বা পাকিস্তান কেউই কোনও চুক্তিতে না পৌঁছালেও, সাম্প্রতিক তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, এরই মধ্যে প্রাথমিক উৎপাদন এবং পরীক্ষামূলক পর্যায় অতিক্রম করে ফেলেছে প্রোগ্রামটি।

এদিকে, ভারতকে ইতোমধ্যে সর্বাধুনিক অ্যাপাচি এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টার সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেমে গেছে আরও তলানিতে। আর এটা বড় এক সুযোগ হয়ে এসেছে চীনের জন্য। যার প্রমাণ, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে তাদের জেড-১০এমই যুদ্ধ হেলিকপ্টার।

জেড-১০ হেলিকপ্টারগুলো তৈরি করছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত চাংহে এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন। এগুলো মাঝারি ওজনের আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টার যা ট্যাঙ্ক-বিরোধী অভিযান এবং সীমিত আকাশ থেকে আকাশে যুদ্ধের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

এই হেলিকপ্টারগুলোর একেকটির দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার (৪৬ ফুট), রোটর ব্যাস ১৩ মিটার (৪৩ ফুট) এবং এগুলো প্রায় ১,৬০০ হর্সপাওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ডব্লিউজেড-৯সি টার্বোশ্যাফ্ট ইঞ্জিন দ্বারা চালিত।

এই সিরিজের প্রতিটি হেলিকপ্টার একটি ঘূর্ণায়মান কামান, নির্দেশিত এবং অনির্দেশিত বোমা, মাল্টি-ডোমেন মিসাইল এবং লোটারিং যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা যেতে পারে।

জেড-১০ এর অপারেশনাল উচ্চতা ৬,৪০০ মিটার (২০,৯৯৭ ফুট), সর্বোচ্চ গতি ১৬০ নট (২৯৬ কিলোমিটার/১৮৪ মাইল প্রতি ঘন্টা) এবং এর পরিসীমা ৪৩০ নটিক্যাল মাইল (৭৯৬ কিলোমিটার/৪৯৫ মাইল)।

বর্তমানে নিজেদের বহরে প্রায় ২০০টি জেড-১০ হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি।

ফু কিয়ানশাও নামে চীনের এক সামরিক বিশেষজ্ঞ বলেন, এই প্রথম জেড-১০এমই যুদ্ধ হেলিকপ্টারের রপ্তানির চুক্তি করতে যাচ্ছে চীন। এই হেলিকপ্টারটি উল্লম্বভাবে উড়তে এবং অবতরণ করতে পারে এবং ঘোরাফেরা করতে পারে। পাকিস্তান এটিকে নিজেদের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে দারুণভাবে কাজে লাগাতে পারবে। প্রতিটি জেড-১০এমই হেলিকপ্টার রকেট, ট্যাঙ্ক-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ঐতিহ্যবাহী নিরাপত্তা মিশনের জন্য আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত হতে পারে।

ঝাং জুয়েফেং নামে আরেক চীনা বিশেষজ্ঞ বলেন, জেড-১০এমই হেলিকপ্টারের অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে, যা এটিকে বিশ্বের সেরা মাঝারি আকারের আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টারগুলোর মধ্যে অতুলনীয় করে তুলেছে।