জয় বাংলা’ শুনে ক্ষেপে গেলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু

- আপডেট সময় : ০৯:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
যাত্রা পথে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সমর্থকের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শুনে বেজায় চটলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শোনা মাত্রই গাড়িবহর থামিয়ে কালো গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে গেলেন তিনি। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার হুগলি জেলার পুরশুরা বিধানসভার রাধানগরে কন্যা সুরক্ষার যাত্রা- মিছিল ছিল। সেই মিছিলে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপি ও বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। পথিমধ্যে আরামবাগের হেলান এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িবহর পৌঁছালে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী শেখ মঈদুল তাকে লক্ষ্য করে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।
স্লোগান শুনে মেজাজ হারান বিরোধী দলনেতা। হঠাৎ করে গাড়িবহর থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পাল্টা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই তৃণমূল কর্মী শেখ মঈদুলের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান তিনি।
হঠাৎ করে শেখ মঈদুলের দিকে তেড়ে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কে কে? জয় শ্রীরাম। শুভেন্দু অধিকারীর স্লোগান শুনে শেখ মঈদুলও পাল্টা বলেন, জয় শ্রীরাম না, জয় বাংলা। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, হিন্দুর বাচ্চা।
তৃণমূল সমর্থক শেখ মঈদুলকে পাকিস্তানি-রোহিঙ্গা বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। পাল্টা আবার বিরোধী দলনেতাকেও মঈদুল বলেন, আপনি নিজে রোহিঙ্গা। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী বলে ওঠেন, আমি মমতাকে নির্বাচনে হারিয়েছি, চামড়া তুলে নেব।
বাদানুবাদের মধ্যেই ক্ষুব্ধ হয়ে বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ওই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন শুভেন্দু। নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীও শেখ মঈদুলকে ধাওয়া করে ওই জায়গা থেকে সরিয়ে দেন।
এ ঘটনার পরেই রাজ্যের শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেস শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বলতে শুরু করে, ভয় পেয়েছে, খুব ভয় পেয়েছে! বাংলার মানুষের এমন রূপ আগে দেখেননি শুভেন্দু। জয় বাংলা শুনলেই গায়ে যেন ফোসকা পড়ে।
যদিও বিরোধীদল বিজেপিও তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে ধার করে আনা স্লোগান ‘জয় বাংলা’ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না। এর আগে নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের এক নেতার স্লোগান, ‘খেলা হবে’ ধার করে নিয়ে চালিয়েছিলেন এখানে। কিন্তু এবার পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ধার করা জিনিস আর গ্রহণ করবে না।