কলেজছাত্রী রত্না হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন

- আপডেট সময় : ০৬:২৪:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
গত ৩০ জুলাই সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝাপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে কলেজছাত্রী সুলতানা আক্তার রত্নার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সফল হয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১) জুলাই রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রত্নার প্রেমিক মহাদেব রায়কে গ্রেপ্তারের পর জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে সে।
জানা গেছে, মরদেহ উদ্ধারের সময় রত্নার গলায় দাগ পাওয়া যায় এবং তার হাতে মোবাইল ফোনের কাভার ও কাপড়ের ব্যাগ ছিল। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্তে রত্নার ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে যেখানে মহাদেবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ও তার সঙ্গে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
এ ছাড়া রত্নার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল নাম্বারের কল ডিটেইল রেকর্ড (সিডিআর) বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা হয়। পরে ওই দিন দুপুরে একই ইউনিয়নের পুণ্ডিপাড়া গ্রামের খোকা বর্মনের ছেলে মহাদেব রায়কে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মহাদেব হত্যার দায় স্বীকার করে জানায়, রত্না দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তার পরিবার অন্যত্র মহাদেবের বিয়ে ঠিক করে ফেলে। এতে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। ঘটনার রাতে মহাদেব রত্নাকে বাইরে ডেকে নিয়ে বিয়ে নিয়ে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে মোবাইল ফোন ভেঙে বিভিন্নস্থানে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা রবিউল ইসলাম মহাদেব রায়সহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হলে আসামি মহাদেব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
দেবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার জানান, প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে নিয়ে বিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সহকারী পুলিশ সুপার সামুয়েল সাংমার ভাষ্য, অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যেই মামলার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।