আবাসিক হোটেলের কক্ষে ঢুকে নারীকে মারধর, অতঃপর… 

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

পটুয়াখালী শহরে একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে ঢুকে এক নারীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। 

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে শহরের পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয় এলাকার মহাসড়ক–সংলগ্ন একটি হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। ঘটনার পর পুলিশ হোটেলের ব্যবস্থাপকসহ তিন নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যৌন ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, কালো রঙের টি-শার্ট পরা এক যুবক এক নারীকে ধাক্কা দিচ্ছেন ও মারধর করছেন। এ সময় ভুক্তভোগী নারী ওই যুবকের হাতে-পায়ে ধরে আকুতি জানাচ্ছেন। ভিডিওতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সদস্যকেও হোটেলটির বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করতে দেখা যায়। এ সময় তারা ওই হোটেলে যৌন ব্যবসা চলার অভিযোগ করেন।

গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রপ্রতিনিধি সজিবুল ইসলা বলেন, ওই আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চলায় স্থানীয় লোকজন বিরক্ত। বুধবার বিকেলে তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা ওই হোটেলে যান। কয়েকটি কক্ষে কয়েকজন নারীকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ মীরা (৪০) নামের একজন হঠাৎ কক্ষে ঢুকে এক নারীকে মারধর শুরু করেন।

তরুণীকে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে মাসুদ মীরা বলেন, লোকজনের ভিড় দেখে তিনি ঘটনাস্থলে যান। তবে নারীকে মারধর করা ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

পটুয়াখালীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, একটি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসার অভিযোগে কয়েকজন নারীকে আটক করে ছাত্র–জনতা তাদের খবর দেয়। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ভিড় ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশের সদস্যদের নিয়ে হোটেলের ব্যবস্থাপক ও তিন নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মারধরের বিষয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, পুলিশ যাওয়ার আগে ওই ঘটনা ঘটতে পারে।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, জেলা শহরের একটি হোটেল থেকে সদর থানা পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা তিন নারীসহ এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসার অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আবাসিক হোটেলের কক্ষে ঢুকে নারীকে মারধর, অতঃপর… 

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

পটুয়াখালী শহরে একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে ঢুকে এক নারীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। 

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে শহরের পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয় এলাকার মহাসড়ক–সংলগ্ন একটি হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। ঘটনার পর পুলিশ হোটেলের ব্যবস্থাপকসহ তিন নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যৌন ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, কালো রঙের টি-শার্ট পরা এক যুবক এক নারীকে ধাক্কা দিচ্ছেন ও মারধর করছেন। এ সময় ভুক্তভোগী নারী ওই যুবকের হাতে-পায়ে ধরে আকুতি জানাচ্ছেন। ভিডিওতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সদস্যকেও হোটেলটির বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করতে দেখা যায়। এ সময় তারা ওই হোটেলে যৌন ব্যবসা চলার অভিযোগ করেন।

গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রপ্রতিনিধি সজিবুল ইসলা বলেন, ওই আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চলায় স্থানীয় লোকজন বিরক্ত। বুধবার বিকেলে তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা ওই হোটেলে যান। কয়েকটি কক্ষে কয়েকজন নারীকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ মীরা (৪০) নামের একজন হঠাৎ কক্ষে ঢুকে এক নারীকে মারধর শুরু করেন।

তরুণীকে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে মাসুদ মীরা বলেন, লোকজনের ভিড় দেখে তিনি ঘটনাস্থলে যান। তবে নারীকে মারধর করা ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

পটুয়াখালীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, একটি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসার অভিযোগে কয়েকজন নারীকে আটক করে ছাত্র–জনতা তাদের খবর দেয়। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ভিড় ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশের সদস্যদের নিয়ে হোটেলের ব্যবস্থাপক ও তিন নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মারধরের বিষয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, পুলিশ যাওয়ার আগে ওই ঘটনা ঘটতে পারে।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, জেলা শহরের একটি হোটেল থেকে সদর থানা পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা তিন নারীসহ এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসার অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।