ট্রাম্পকে ‘চরমভাবে’ হতাশ করলেন পুতিন!

- আপডেট সময় : ০৯:০০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি:সংগৃহীত
প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে কথা বলতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় এক ঘণ্টা আলাপ হয়েছে দুজনের মধ্যে। কিন্তু, যে উদ্দেশে দীর্ঘ সময় কথা চালিয়ে গেলেন ট্রাম্প, সেই সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ইস্যুর কোনো অগ্রগতি হয়নি। এতে চরম হতাশ হয়েছেন তিনি।
আর এই হতাশার কথা লুকাতেও পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ‘বন্ধু’ পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথোপকথনে আমি অত্যন্ত হতাশ হয়েছি, কারণ আমি মনে করি না তিনি যুদ্ধ থামাতে চাইছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।
শুক্রবার (৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিজে কোনো মন্তব্য করেননি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন; তবে তার সহকারী ও অন্যতম মুখপাত্র ইউরি উশাকভ বলেছেন, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে সংলাপ চলছে— ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে সেটির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে এক ব্রিফিংয়ে উশাকভ এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, আমরা এখনও রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের সমাধান খুঁজে চলেছি। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ইস্তাম্বুলে সম্পাদিত মানবিক চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কেও অবহিত করেছেন। তবে, প্রেসিডেন্ট পুতিন স্পষ্টভাবে বলেছেন যে সংঘাতের শুরুতে রাশিয়া যেসব লক্ষ্য নিয়েছিল, সেসব অবশ্যই পূরণ করা হবে। অর্থাৎ এই সংঘাতের মূলে যেসব কারণ রয়েছে, সেসব সমাধান করতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি হলেও হয়তো তা স্থায়ী হবে না।
এদিকে ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের কিছুক্ষণের মধ্যেই কিয়েভের এক আবাসিক ভবনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় আগুন লাগে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ও ভারী গুলি বিনিময়ের খবর পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি পূর্ব ইউক্রেনে রুশ গোলাবর্ষণে পাঁচজন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা সম্পূর্ণভাবে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করিনি। কিন্তু বাইডেন এত বেশি অস্ত্র পাঠিয়েছে যে এতে আমাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে গেছে। বাইডেন প্রশাসন ‘দেশের অস্ত্রাগার খালি করে ফেলেছে’ ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে গিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র কিছু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেছে। ফলে রুশ গ্রীষ্মকালীন হামলার মুখে পড়েছে ইউক্রেন এবং বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা বেড়েছে।