চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদকে প্রত্যাহার

- আপডেট সময় : ০১:৫৮:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

ছবি:সংগৃহীত
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরকে প্রত্যাহার করেছে জেলা পুলিশ।
বুধবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে তাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
এর আগে বুধবার সকালে ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার ইন্দ্রপুল এলাকায় টানা ৯ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তারা সড়কের দুই পাশে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন। ফলে তৈরি হয় তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো যাত্রী। এ ছাড়া একই দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম নগরের জাকির হোসেন সড়কে ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবস্থান নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রলীগের এক কর্মী দীপঙ্করকে (২৯) আটক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। পরে তাকে থানায় নিয়ে গেলে পুলিশ শুরুতে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকৃতি জানায়, কারণ তার নামে কোনো মামলা ছিল না।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশ এ সময় তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা ও মারধর করে। এতে উসকে উঠে বিক্ষোভ।
আন্দোলনকারীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, দীপঙ্কর দে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তাকে থানায় সোপর্দের পর পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারীরা মিছিলসহ দীপঙ্করকে নিয়ে এসে থানা চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। তাকে মারধর করতে করতে থানায় প্রবেশ করে এবং ‘মব কন্ট্রোলের বাইরে যাওয়ার’ মতো পরিস্থিতি তৈরি করেন। পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।