জুলাই ও আগস্টে তিন দিন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত ঘুরতে পারে পৃথিবী, ঘটছে কী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

সবারই জানা, সূর্যের চারপাশে নির্দিষ্ট গতিতে ঘুরছে পৃথিবী। আবার নিজের অক্ষেও পৃথিবীর ঘূর্ণন বেগ নির্দিষ্ট। তবে, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে জুলাই ও আগস্টে তিন দিন পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যেতে পারে কিছুটা। 

এর ফলে ৯ জুলাই, ২২ জুলাই ও আগামী ৫ আগস্ট কিছুটা কম হবে দিনের দৈর্ঘ্য। যদিও দিনের এই দৈর্ঘ্য কমবে মিলিসেকেন্ডের হিসেবে। যেমন ৫ আগস্টে দিনের সময় কমবে মাত্র ১.৫১ মিলিসেকেন্ড। খবর এনডিটিভির।

বর্তমানে পৃথিবী তার অক্ষে ৩৬৫ বারের বেশি আবর্তন করে। বিভিন্ন গবেষণার তথ্যমতে, অতীতে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগত ৩৭২ থেকে ৪৯০ দিন। গ্রহের ঘূর্ণন গতি নানাভাবে প্রভাবিত হতে পারে। হিমবাহ গলে যাওয়া থেকে ভরের পরিবর্তন হয়। এর ফলে গ্রহের ঘূর্ণন গতিও পরিবর্তিত হতে পারে। এল নিনো ও লা নিনার মতো প্রাকৃতিক ঘটনাও পৃথিবীর ঘূর্ণনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির ঘূর্ণন বিশেষজ্ঞ লিওনিড জোটভ জানিয়েছেন, ঘূর্ণন বেড়ে যাওয়ার পেছনের কারণ জানা যায়নি। বেশির ভাগ বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন, গতি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঘটা কোনো কারণে হচ্ছে। মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডলীয় মডেল এই গতি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে না। ২০২৫ সালে সবচেয়ে কম দৈর্ঘ্যের দিনে পৃথিবীর বিষুবরেখা থেকে সর্বোচ্চ দূরত্বের কাছাকাছি অবস্থান করবে চাঁদ।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পৃথিবীর দ্রুত ঘূর্ণনের কারণে বিশ্বব্যাপী সময় সমন্বয় করার প্রয়োজন হতে পারে। এর ফলে ২০২৯ সালে প্রথমবারের মতো একটি লিপ সেকেন্ড কমানো হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জুলাই ও আগস্টে তিন দিন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত ঘুরতে পারে পৃথিবী, ঘটছে কী?

আপডেট সময় : ০৯:০৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

সবারই জানা, সূর্যের চারপাশে নির্দিষ্ট গতিতে ঘুরছে পৃথিবী। আবার নিজের অক্ষেও পৃথিবীর ঘূর্ণন বেগ নির্দিষ্ট। তবে, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে জুলাই ও আগস্টে তিন দিন পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যেতে পারে কিছুটা। 

এর ফলে ৯ জুলাই, ২২ জুলাই ও আগামী ৫ আগস্ট কিছুটা কম হবে দিনের দৈর্ঘ্য। যদিও দিনের এই দৈর্ঘ্য কমবে মিলিসেকেন্ডের হিসেবে। যেমন ৫ আগস্টে দিনের সময় কমবে মাত্র ১.৫১ মিলিসেকেন্ড। খবর এনডিটিভির।

বর্তমানে পৃথিবী তার অক্ষে ৩৬৫ বারের বেশি আবর্তন করে। বিভিন্ন গবেষণার তথ্যমতে, অতীতে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগত ৩৭২ থেকে ৪৯০ দিন। গ্রহের ঘূর্ণন গতি নানাভাবে প্রভাবিত হতে পারে। হিমবাহ গলে যাওয়া থেকে ভরের পরিবর্তন হয়। এর ফলে গ্রহের ঘূর্ণন গতিও পরিবর্তিত হতে পারে। এল নিনো ও লা নিনার মতো প্রাকৃতিক ঘটনাও পৃথিবীর ঘূর্ণনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির ঘূর্ণন বিশেষজ্ঞ লিওনিড জোটভ জানিয়েছেন, ঘূর্ণন বেড়ে যাওয়ার পেছনের কারণ জানা যায়নি। বেশির ভাগ বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন, গতি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঘটা কোনো কারণে হচ্ছে। মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডলীয় মডেল এই গতি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে না। ২০২৫ সালে সবচেয়ে কম দৈর্ঘ্যের দিনে পৃথিবীর বিষুবরেখা থেকে সর্বোচ্চ দূরত্বের কাছাকাছি অবস্থান করবে চাঁদ।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পৃথিবীর দ্রুত ঘূর্ণনের কারণে বিশ্বব্যাপী সময় সমন্বয় করার প্রয়োজন হতে পারে। এর ফলে ২০২৯ সালে প্রথমবারের মতো একটি লিপ সেকেন্ড কমানো হতে পারে।