ভারতে পালানো হলো না ইয়ানুছের, তার আগেই র্যাবের হাতে ধরা

- আপডেট সময় : ০৮:৩৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫ ৫৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
এলাকায় মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল দীর্ঘদিনের। মারামারিও হয়েছে। তবে শেষটা এমন হবে কেউ ভাবেনি। ইয়ানুছের হাতেই প্রাণ গেছে নারায়ণগঞ্জের রতনের। গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয় তাকে। এরপর লাশ ফেলা হয় খালে।
গত ১৭ জুন সোনারগাঁও উপজেলার এ ঘটনায় বুধবার (২ জুলাই) কুড়িগ্রামের সদর থানার আরাজী কদমতলা এলাকা থেকে ইয়ানুছ (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
গ্রেপ্তার ইয়ানুছ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার বরাব মুগড়াকুল এলাকার মৃত নবুর ছেলে। আর নিহত রতন নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুর এলাকার মালেক মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সোনারগাঁয়ের নাওড়া বিটা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
বিষয়টি জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ১৭ জুন সকালে সোনারগাঁও উপজেলার ভারগাঁও এলাকার ওলামা নগর খালপাড় বেড়িবাঁধের পূর্ব পাশ থেকে রতনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, পরে রতনের স্ত্রী বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এবং র্যাব-১৩, যৌথ দল বুধবার (২ জুলাই) কুড়িগ্রামের সদর থানার আরাজী কদমতলা এলাকা থেকে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি ইয়ানুছকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য ও ঘটনার বিবরণ জানিয়ে র্যাব-১১ অধিনায়ক বলেন, আসামি ও ভুক্তভোগী পূর্বপরিচিত। তারা দুজনই একই এলাকার বাসিন্দা ও মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় মাঝে মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হতো।
তিনি বলেন, দুই বছর আগে ভুক্তভোগী ও আসামির মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে এবং ভুক্তভোগী আহত হয়। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন আগে আবারও ভুক্তভোগী ও আসামির মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। আসামি ইয়ানুছ ভুক্তভোগী রতনকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি হাসেম (৪০) ও ৪ নম্বর আসামি ইলিয়াছের (৩০) সহযোগিতায় গত ১৭ জুন ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করা হয়।
র্যাব-১১ অধিনায়ক বলেন, এরপর রতনের গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ খালে ফেলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পর থেকেই ইয়ানুছ কুড়িগ্রামে আত্মগোপনের পাশাপাশি গ্রেপ্তার এড়াতে পার্শ্ববর্তী দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলাও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রসঙ্গত, রতন হত্যার ঘটনায় মোট ৮ জন অংশ নিলেও এখন পর্যন্ত আসামি হয়েছে চারজন।