ইরানের ৪ প্রদেশে ইসরায়েলের হামলা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:১০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের টানা ৯ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে এ সংঘাতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের ডাকে সাড়া দিয়ে ইরানের বড় তিন পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা হামলা চালিয়েছে দেশটি। পরম বন্ধুকে পাশে পেয়ে যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। সবশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ইরানের চারটি প্রদেশে নতুন করে হামলা চালিয়েছে দেশটি। 

রোববার (২২ জুন) এই হামলায় ইরানের ইসফাহান, বুশেহর, আহভাজ ও ইয়াজদ প্রদেশের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের দাবি অনুযায়ী, ইয়াজদে হামলার লক্ষ্য ছিল খোররামশহর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম, যেখানে এসব দূরপাল্লার অস্ত্র মজুত ছিল। অন্যদিকে ইসফাহান, বুশেহর ও আহভাজের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির কারখানা ও একটি ড্রোন গুদামে হামলা চালানো হয়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন উৎক্ষেপণ স্থানে উপস্থিত থাকা ইরানি সেনাদের গতিবিধি শনাক্ত করার পর হামলা চালানো হয়, যাতে কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে, স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) রাতে ইরানের বড় তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফর্দো, নাতানঞ্জ এবং ইস্পাহানে হামলা চালায় মার্কিন বোমারু বিমান। পরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইরানে চালানো এ হামলাকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ সময় ইরানকে সতর্ক করে ট্রাম্প আরও বলেন, হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য আরও অনেক বড় ট্র্যাজেডি হবে, যা আমরা গত আট দিনে দেখেছি। মনে রাখবেন, এখনও অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি আছে। আজ রাতটি ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক। কিন্তু যদি শান্তি দ্রুত না আসে তবে আমরা নির্ভুলতা, দ্রুততা এবং দক্ষতার সাথে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে যাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের ৪ প্রদেশে ইসরায়েলের হামলা!

আপডেট সময় : ১১:১০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের টানা ৯ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে এ সংঘাতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের ডাকে সাড়া দিয়ে ইরানের বড় তিন পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা হামলা চালিয়েছে দেশটি। পরম বন্ধুকে পাশে পেয়ে যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। সবশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ইরানের চারটি প্রদেশে নতুন করে হামলা চালিয়েছে দেশটি। 

রোববার (২২ জুন) এই হামলায় ইরানের ইসফাহান, বুশেহর, আহভাজ ও ইয়াজদ প্রদেশের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের দাবি অনুযায়ী, ইয়াজদে হামলার লক্ষ্য ছিল খোররামশহর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম, যেখানে এসব দূরপাল্লার অস্ত্র মজুত ছিল। অন্যদিকে ইসফাহান, বুশেহর ও আহভাজের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির কারখানা ও একটি ড্রোন গুদামে হামলা চালানো হয়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন উৎক্ষেপণ স্থানে উপস্থিত থাকা ইরানি সেনাদের গতিবিধি শনাক্ত করার পর হামলা চালানো হয়, যাতে কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে, স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) রাতে ইরানের বড় তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফর্দো, নাতানঞ্জ এবং ইস্পাহানে হামলা চালায় মার্কিন বোমারু বিমান। পরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইরানে চালানো এ হামলাকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ সময় ইরানকে সতর্ক করে ট্রাম্প আরও বলেন, হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য আরও অনেক বড় ট্র্যাজেডি হবে, যা আমরা গত আট দিনে দেখেছি। মনে রাখবেন, এখনও অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি আছে। আজ রাতটি ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক। কিন্তু যদি শান্তি দ্রুত না আসে তবে আমরা নির্ভুলতা, দ্রুততা এবং দক্ষতার সাথে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে যাবো।