পিরোজপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণী অনশন আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি

- আপডেট সময় : ০১:৫০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি:সময়ের সন্ধানে
পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে এক তরুণী অনশনে বসেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শেখমাঠিয়া ইউনিয়নের গড়ঘাটা গ্রামের আজহার আলী শেখের বাড়িতে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরপুর থানার ওসি মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভুঁইয়া বলেন, অনশন পালন করা তরুণী হবিগঞ্জ জেলার লাখাইল উপজেলার লাখাইল গ্রামের হাফিজ মিয়ার মেয়ে।
গত মঙ্গলবার (৩ জুন) ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তরুণী বাড়ির সামনের রাস্তায় অবস্থান করছে। সাংবাদিকদের খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন অভিযুক্ত আব্দুল্লাহর মা ও স্থানীয়রা। এসময় তরুণীর সঙ্গে মারমুখী অবস্থান নেয় পরিবার ও স্থানীয়রা। অনশনরত তরুণী তানিসা তাবাসসুম স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যা করবেন বলে জানিয়েছেন।
তরুণী বলেন, আজহার আলী শেখের ছেলে আব্দুল্লাহ শেখ চাকরির সুবাধে হবিগঞ্জে থাকত। সেখানে আব্দুল্লাহর সঙ্গে তার পরিচয় এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত রোজার ঈদের দিন আব্দুল্লাহ তাকে ফোন করে তার ব্যাচেলর বাসায় আসতে বলে। সে তার সঙ্গে দেখা করতে ওই বাসায় যায়। এসময় আব্দুল্লাহ জোড় করে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর স্থানীয় এক হুজুরকে ডেকে ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক তাকে বিয়ে করেন। এরপর এক সপ্তাহে ধরে আব্দুল্লাহ এবং সে ওই বাসায় একসঙ্গে থাকে।
তানিসা জানান, কিছু দিন আগে তিনি জানতে পারেন আব্দুল্লাহর বিয়ে ঠিক হয়েছে। এটা জেনে সে আব্দুল্লাহকে ফোন দিলে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে তিনি আব্দুল্লাহর গ্রামের বাড়ি গেলে তার পরিবার ও স্থানীয়রা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এসময় ওই তরুণী বলেন, যদি আব্দুল্লাহ ও তার পরিবার স্ত্রীর মর্যদা না দেয় তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবে।
স্থানীয়রা জানান, এমন ঘটনা তারা এর আগে দেখেন নাই। অনেকে বলেছেন, ওই তরুণীর কাছে যদি বিয়ের ডকুমেন্টস বা কাবিননামা থাকে তাহলে তারা স্থানীয়রা বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করে দেবে। কিন্তু এমন প্রেম, ছবি, মেলামেশা আজকাল অহরহ হয়ে থাকে। শুধু অডিও রেকর্ড শুনে ও ছবি দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।
এ বিষয়ে আব্দুল্লাহর মা জানান, ওই মেয়েকে তারা চেনে না, আর তার ছেলে কখনও ওইখানে চাকরি করে নাই। আর যদি তার ছেলের স্ত্রী হয়, তাহলে কাবিননামা দেখাতে হবে। কাবিননামা থাকলে তিনি স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভূইয়া জানান, এলাকায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।