গাজীপুরে ঝুট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ে সশস্ত্র মহড়া

- আপডেট সময় : ১২:১৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি:সংগৃহীত
ঝুট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছিলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিয়ে বেড়ানো এনামুল শিকদার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ। তাদের সশস্ত্র মহড়া দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় একদল পুলিশ। পরে এনামুল শিকদার ও তাঁর সহযোগী সুমন মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার ফকিরা গ্রুপের সিএ নিটওয়্যার নামে একটি কারখানার সামনে এই ঘটনা ঘটে। জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশের হাতে আটক এনামুল শিকদার নিজেকে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি ভবানীপুর এলাকার আব্দুল বাতেন শিকদারের ছেলে।
জানা গেছে, ওই কারখানায় কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিয়ে ঝুটের ব্যবসা করেন জাহাঙ্গীর শিকদার ও বদরে আলম বাদল। তাদের কাছ থেকে সাব-কন্ট্রাক্টে ঝুট বের করে নেন একই এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান।
মাহমুদুল হাসান জানান, গত সোমবার রাতে এনামুল শিকদার টেলিফোন করে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লাহর নাম বলে তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ৫ লাখ টাকা আতাউর মোল্লাহকে দিতে হবে বলে মাহমুদকে জানান এনামুল। না দিলে আর ব্যবসা করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন। পরে মঙ্গলবার সকালে এনামুল শিকদার লাঠি, দাসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিয়ে কারখানার সামনে আসে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ৩০-৪০ জন। এক পর্যায়ে তাঁকে রাস্তায় পেয়ে আক্রমণ করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনি রক্ষা পেলেও তাঁর স্বজন শামসুল আলম ও সাখাওয়াতের ওপর হামলা হয়। আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মহড়ার একাধিক ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লাহ বলেন, অভিযুক্ত এনামুল শিকদারের সঙ্গে তাঁর কোনো পরিচয় বা সম্পর্ক নেই। এনামুল দলেরও কেউ না। তাঁকে আটক করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছেন তিনি। এ ঘটনায় মাহমুদুল হাসানের চাচাতো ভাই ফারহান হোসেন প্রধান বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন।
জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ জানান, এনামুল ও সুমন নামে দু’জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ হেফাজতে থাকার কারণে এনামুল শিকদারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।