জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের খোঁজ-খবর নিতে হাসপাতালে ইশরাক

সময়ের সন্ধানে ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন। 

শনিবার (৭ জুন) রাত ৮ দিকে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

এই হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ২৯ জন এবং আরেকটি ওয়ার্ডে ১৯ জন আহত জুলাই যোদ্ধা ভর্তি রয়েছেন। ইশরাক হোসেন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সারাদিনে এই বীর সন্তানদের কেউ খোঁজ নিতে যাননি। তাই তিনি তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। ইশরাক হোসেন যাওয়া হাসপাতালে মুহূর্তে আনন্দ ঘন পরিবেশের তৈরি হয়।

এ সময় কাজী জাবের বলেন, ঈদে কেউ কোন খোঁজ নেননি। আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে হওয়া উপদেষ্টারা এখন আরাম আয়েশে ঘুরেছেন, ঈদের আনন্দ করছেন। আর আমরা এখনও হাসপাতালে কাতরাচ্ছি। আমাদের কোন খোঁজ নেওয়ারও দরকার মনে করেন না তারা। এমনকি এই ঈদের দিনেও  নষ্ট খাবার দেয়া হয়েছে।

নাদিম হাসান বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কি করলাম। মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আর তারা এখন ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর। নতুন দল নিয় ব্যস্ত। আমাদের কথা ভাবার সময় কই!

আইয়ুব হোসেন বলেন, তাদের আর কি চাই? তারা তো উপদেষ্টা হয়েছেন। তাদের কি আর আমাদের কথা ভাবার সময় আছে। যারা জুলাই বেঁচে খাচ্ছে জুলাই তাদের ছাড়বে না।

আহতদের অভিযোগ শুনে হতাশা ও প্রকাশ করেন ইশরাক হোসেন। একই সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার, তারা ব্যস্ত লুটপাট নিয়ে। এই বীর যোদ্ধাদের কোন খবর নেয় না, এই ঈদের দিনেও তাদের কোন খোঁজ নেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তারা। আর ছাত্র উপদেষ্টারা আছেন, তাদের রাজনৈতিক দল গোছানো নিয়ে। আর এই জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে তাদের কোন ভাবনা নেই। জুলাই ফাউন্ডেশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইশরাক হোসেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, এই সরকার যদি অতি দ্রুততম সময়ের আহত যোদ্ধাদের উন্নত চিকিৎসা না করে এবং এই আহতরা যদি আবারও আন্দোলন করে, তাহলে তাদের সাথে প্রয়োজনে আমরাও আন্দোলনে যোগ দেবো।

এই হাসপাতালের দুইটি ওয়ার্ডে মো. রাফি হোসেন, কাজী মো. জাবের, মো. আল আমিন, মো. মনির হোসেন, মো. ছাব্বির হোসেন, মো. শাহিন আলম, মো. হাছান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রিফাত হাং, মো. পারভেজ মিয়া, মো. শাকিল খান, মো. আব্দল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. রুমান হোসেন, মো. জামাল হোসেন, মো. আলম শেখ, মো. দুলাল মান, মো. মনির খান, মো. নাদিম ও আরেকটি ওয়ার্ডে মো. আইয়ুব হোসেন, মো. শামিম মিয়া, মো. সোয়েব, মো. আরাফাত, মো. সজিব হোসেন, মো. শহিদুল, মো. রেজওয়ান, মো. মাহিম, মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. মাসুদ, মো. শাহ্ রিয়ায়, মো. মাসুমসহ ৪৮ জন ভর্তি রয়েছন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের খোঁজ-খবর নিতে হাসপাতালে ইশরাক

আপডেট সময় : ১২:৪৫:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন। 

শনিবার (৭ জুন) রাত ৮ দিকে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

এই হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ২৯ জন এবং আরেকটি ওয়ার্ডে ১৯ জন আহত জুলাই যোদ্ধা ভর্তি রয়েছেন। ইশরাক হোসেন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সারাদিনে এই বীর সন্তানদের কেউ খোঁজ নিতে যাননি। তাই তিনি তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। ইশরাক হোসেন যাওয়া হাসপাতালে মুহূর্তে আনন্দ ঘন পরিবেশের তৈরি হয়।

এ সময় কাজী জাবের বলেন, ঈদে কেউ কোন খোঁজ নেননি। আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে হওয়া উপদেষ্টারা এখন আরাম আয়েশে ঘুরেছেন, ঈদের আনন্দ করছেন। আর আমরা এখনও হাসপাতালে কাতরাচ্ছি। আমাদের কোন খোঁজ নেওয়ারও দরকার মনে করেন না তারা। এমনকি এই ঈদের দিনেও  নষ্ট খাবার দেয়া হয়েছে।

নাদিম হাসান বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কি করলাম। মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আর তারা এখন ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর। নতুন দল নিয় ব্যস্ত। আমাদের কথা ভাবার সময় কই!

আইয়ুব হোসেন বলেন, তাদের আর কি চাই? তারা তো উপদেষ্টা হয়েছেন। তাদের কি আর আমাদের কথা ভাবার সময় আছে। যারা জুলাই বেঁচে খাচ্ছে জুলাই তাদের ছাড়বে না।

আহতদের অভিযোগ শুনে হতাশা ও প্রকাশ করেন ইশরাক হোসেন। একই সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার, তারা ব্যস্ত লুটপাট নিয়ে। এই বীর যোদ্ধাদের কোন খবর নেয় না, এই ঈদের দিনেও তাদের কোন খোঁজ নেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তারা। আর ছাত্র উপদেষ্টারা আছেন, তাদের রাজনৈতিক দল গোছানো নিয়ে। আর এই জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে তাদের কোন ভাবনা নেই। জুলাই ফাউন্ডেশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইশরাক হোসেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, এই সরকার যদি অতি দ্রুততম সময়ের আহত যোদ্ধাদের উন্নত চিকিৎসা না করে এবং এই আহতরা যদি আবারও আন্দোলন করে, তাহলে তাদের সাথে প্রয়োজনে আমরাও আন্দোলনে যোগ দেবো।

এই হাসপাতালের দুইটি ওয়ার্ডে মো. রাফি হোসেন, কাজী মো. জাবের, মো. আল আমিন, মো. মনির হোসেন, মো. ছাব্বির হোসেন, মো. শাহিন আলম, মো. হাছান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রিফাত হাং, মো. পারভেজ মিয়া, মো. শাকিল খান, মো. আব্দল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. রুমান হোসেন, মো. জামাল হোসেন, মো. আলম শেখ, মো. দুলাল মান, মো. মনির খান, মো. নাদিম ও আরেকটি ওয়ার্ডে মো. আইয়ুব হোসেন, মো. শামিম মিয়া, মো. সোয়েব, মো. আরাফাত, মো. সজিব হোসেন, মো. শহিদুল, মো. রেজওয়ান, মো. মাহিম, মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. মাসুদ, মো. শাহ্ রিয়ায়, মো. মাসুমসহ ৪৮ জন ভর্তি রয়েছন।