সংবাদ শিরোনাম ::
পঞ্চগড়ের সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশি ও ৪ ভারতীয় নাগরিকসহ ১৬ জনকে পুশইন ক্ষমতায় গেলে ড. ইউনূসকে পাশে চাইবে বিএনপি যশোরের বেনাপোলে গাছে ঝুলছিল স্বামীর মরদেহ, স্ত্রীর লাশ পড়েছিল মাঠে হানিফ পরিবহনের বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত দুর্গম পাহাড়ে নারী পর্যটকের মৃত্যু, ভ্রমণ গ্রুপের প্রধান গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জে যুবককে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা ইরানের ভয়ে একরাতে ৫ বার বাংকারে আশ্রয় নেন রাষ্ট্রদূত মাইক পাঁচ দিন অনশনের পর অবশেষে বিয়ে হলো রাদিয়া-বিজয়ের ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে মির্জা ফখরুলের প্রতিক্রিয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক আজ
সংবাদ শিরোনাম ::
পঞ্চগড়ের সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশি ও ৪ ভারতীয় নাগরিকসহ ১৬ জনকে পুশইন ক্ষমতায় গেলে ড. ইউনূসকে পাশে চাইবে বিএনপি যশোরের বেনাপোলে গাছে ঝুলছিল স্বামীর মরদেহ, স্ত্রীর লাশ পড়েছিল মাঠে হানিফ পরিবহনের বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত দুর্গম পাহাড়ে নারী পর্যটকের মৃত্যু, ভ্রমণ গ্রুপের প্রধান গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জে যুবককে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা ইরানের ভয়ে একরাতে ৫ বার বাংকারে আশ্রয় নেন রাষ্ট্রদূত মাইক পাঁচ দিন অনশনের পর অবশেষে বিয়ে হলো রাদিয়া-বিজয়ের ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে মির্জা ফখরুলের প্রতিক্রিয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক আজ

নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক আর নেই

নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০১:০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত 

নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে নানান রোগে ভুগছিলেন তিনি। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ভাষা সৈনিক ফজলুল হকের ছেলে ওয়াসিফ-উল-হক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বাদ যোহর নাটোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

১৯৩৮ সালে ফজলুল হক নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার দমদমা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জেলা বোর্ডের সেকশন অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরি করেছেন তিনি। অবসরের পর ফজলুল হক নাটোর শহরে ওষুধ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি নাটোর ইউনাইটেড মেডিকেল হলের স্বত্বাধিকারী ছিলেন। তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৫২ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন ফজলুল হক। সেই সময়কার জিন্না স্কুলের (বর্তমানে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করেন। স্থানীয় আরও তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান দিয়ে শহরে মিছিল ও সমাবেশ করেন। এজন্য হুলিয়া মাথায় নিয়ে দিনের পর দিন পালিয়ে বেড়াতে হয়েছিল ফজলুল হককে।

বৃদ্ধ বয়সে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতে শুয়ে-বসেই সময় কাটতো তার। নাটোর জেলায় যে কয়েকজন ভাষা সৈনিক ছিলেন, তাদের মধ্য ফজলুল হকই শুধু জীবিত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি পাননি এ গুণী ব্যক্তি। ভাষা আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা রাখায় ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয় শতবর্ষ উৎসবে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক আর নেই

আপডেট সময় : ০১:০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি:সংগৃহীত 

নাটোরের ভাষা সৈনিক ফজলুল হক আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে নানান রোগে ভুগছিলেন তিনি। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ভাষা সৈনিক ফজলুল হকের ছেলে ওয়াসিফ-উল-হক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বাদ যোহর নাটোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

১৯৩৮ সালে ফজলুল হক নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার দমদমা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জেলা বোর্ডের সেকশন অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরি করেছেন তিনি। অবসরের পর ফজলুল হক নাটোর শহরে ওষুধ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি নাটোর ইউনাইটেড মেডিকেল হলের স্বত্বাধিকারী ছিলেন। তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৫২ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন ফজলুল হক। সেই সময়কার জিন্না স্কুলের (বর্তমানে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করেন। স্থানীয় আরও তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান দিয়ে শহরে মিছিল ও সমাবেশ করেন। এজন্য হুলিয়া মাথায় নিয়ে দিনের পর দিন পালিয়ে বেড়াতে হয়েছিল ফজলুল হককে।

বৃদ্ধ বয়সে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতে শুয়ে-বসেই সময় কাটতো তার। নাটোর জেলায় যে কয়েকজন ভাষা সৈনিক ছিলেন, তাদের মধ্য ফজলুল হকই শুধু জীবিত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি পাননি এ গুণী ব্যক্তি। ভাষা আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা রাখায় ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয় শতবর্ষ উৎসবে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।