ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
শিরোনাম ::
নতুন ভাবে শুরু করার প্রত্যয় নিয়ে শ্রীপুরের ২নং গাজীপুরে ইউনিয়নে নতুন চেয়ারম্যানের অভিষেক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে কঠোর হস্তে দমনের পক্ষে বিএনপি কূটনৈতিক জোন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিউটিরত গাড়ি লাপাত্তা ঢালিউড অভিনেতা নিরবের “বিরুদ্ধে” পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর চিন্ময় কৃষ্ণকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার রাজশাহীতে বিয়েতে গান বাজিয়ে শাস্তির মুখে বর মুস্তাফিজের পর রিশাদকেও নিল না কোনো দলই বাগমারা’য় ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীর সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের-মৃত্যু শ্রীপুরে গৃহবধু পরকীয়া প্রেমিককের সাঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রাজশাহী’তে ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গু’লিবর্ষণকারী রনি গ্রেপ্তার

শেরপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পছন্দের ছেলেকেই অপহরণ, অতঃপর…

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

কলেজছাত্র সুমন মিয়াকে (১৭) অপহরণের অভিযোগে বাবা-মেয়েকে গ্রেপ্তার।ছবি:সময়ের সন্ধানে

শেরপুর প্রতিনিধি:

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শেরপুরে কলেজছাত্র সুমন মিয়াকে (১৭) অপহরণের অভিযোগে বাবা-মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে অপহরণের ৭ দিন পরও সন্ধান পাওয়া যায়নি সুমনের। সুমন শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া (নিমতলা) এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

গেল ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কলেজ থেকে পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার বাড়িতে যাওয়ার পথে শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে সুমনকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদর থানার পুলিশ রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে কসবা বারাকপাড়া এলাকার মো. আজিম উদ্দিন ও তার মেয়ে আন্নি আক্তারকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে। আন্নি আক্তার শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও অপহৃত কলেজছাত্র সুমন মিয়ার সহপাঠী।

এর আগে রোববার রাতে সুমনের বাবা নজরুল ইসলামের দায়ের করা অভিযোগটি সদর থানায় মামলা (এফআইআর) হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার বাবা-মেয়েসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবা-মেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত কলেজছাত্র সুমন মিয়াকে উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমন মিয়ার কসবা বারাকপাড়া এলাকার বাড়ির পাশে তার সহপাঠী আন্নি আক্তার বাস করেন। একই কলেজে পড়ার সুবাদে আন্নি আক্তার সম্প্রতি সুমনকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সুমন তাতে রাজি না হওয়ায় আন্নি ক্ষুব্ধ হয়ে তার (সুমন) ক্ষতি করার জন্য পেছনে লেগে থাকেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুমন মিয়া কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় আন্নির উপস্থিতিতে আরও ২-৩ জন যুবক জোরপূর্বক সুমনকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান।

এ ঘটনার পর সুমন বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় ও অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান (সুমন) না পাওয়ায় সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম ওই দিন রাতে সদর থানায় জিডি করেন। পরে অপহরণের ঘটনাটি জানতে পেরে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আন্নি ও তার বাবাসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। পরে রোববার রাতে অভিযোগটি মামলা হিসেবে সদর থানায় রেকর্ড করা হয়।

এদিকে সুমনের সন্ধান না পেয়ে তার মা-বাবা, স্থানীয় এলাকাবাসী ও সুমনের কয়েকজন সহপাঠী রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সুমনকে উদ্ধারসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পুরো ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে। মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে সুমনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে ছিল বলে জানা যায়। তবে বর্তমানে তার ফোনটি বন্ধ রয়েছে। তাকে (সুমন) উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন ভাবে শুরু করার প্রত্যয় নিয়ে শ্রীপুরের ২নং গাজীপুরে ইউনিয়নে নতুন চেয়ারম্যানের অভিষেক

শেরপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পছন্দের ছেলেকেই অপহরণ, অতঃপর…

আপডেট সময় : ০৯:০০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

কলেজছাত্র সুমন মিয়াকে (১৭) অপহরণের অভিযোগে বাবা-মেয়েকে গ্রেপ্তার।ছবি:সময়ের সন্ধানে

শেরপুর প্রতিনিধি:

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শেরপুরে কলেজছাত্র সুমন মিয়াকে (১৭) অপহরণের অভিযোগে বাবা-মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে অপহরণের ৭ দিন পরও সন্ধান পাওয়া যায়নি সুমনের। সুমন শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া (নিমতলা) এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

গেল ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কলেজ থেকে পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার বাড়িতে যাওয়ার পথে শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে সুমনকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদর থানার পুলিশ রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে কসবা বারাকপাড়া এলাকার মো. আজিম উদ্দিন ও তার মেয়ে আন্নি আক্তারকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে। আন্নি আক্তার শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও অপহৃত কলেজছাত্র সুমন মিয়ার সহপাঠী।

এর আগে রোববার রাতে সুমনের বাবা নজরুল ইসলামের দায়ের করা অভিযোগটি সদর থানায় মামলা (এফআইআর) হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার বাবা-মেয়েসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার বাবা-মেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত কলেজছাত্র সুমন মিয়াকে উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমন মিয়ার কসবা বারাকপাড়া এলাকার বাড়ির পাশে তার সহপাঠী আন্নি আক্তার বাস করেন। একই কলেজে পড়ার সুবাদে আন্নি আক্তার সম্প্রতি সুমনকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সুমন তাতে রাজি না হওয়ায় আন্নি ক্ষুব্ধ হয়ে তার (সুমন) ক্ষতি করার জন্য পেছনে লেগে থাকেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুমন মিয়া কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় আন্নির উপস্থিতিতে আরও ২-৩ জন যুবক জোরপূর্বক সুমনকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান।

এ ঘটনার পর সুমন বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় ও অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান (সুমন) না পাওয়ায় সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম ওই দিন রাতে সদর থানায় জিডি করেন। পরে অপহরণের ঘটনাটি জানতে পেরে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আন্নি ও তার বাবাসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। পরে রোববার রাতে অভিযোগটি মামলা হিসেবে সদর থানায় রেকর্ড করা হয়।

এদিকে সুমনের সন্ধান না পেয়ে তার মা-বাবা, স্থানীয় এলাকাবাসী ও সুমনের কয়েকজন সহপাঠী রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সুমনকে উদ্ধারসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পুরো ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে। মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে সুমনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে ছিল বলে জানা যায়। তবে বর্তমানে তার ফোনটি বন্ধ রয়েছে। তাকে (সুমন) উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।