এনবিআরের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

সময়ের সন্ধানে ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

কর ফাঁকি ও ঘুষের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট ঢাকা পূর্ব জোনের কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থলবন্দরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা, উপ-করকমিশনার মো. মামুন মিয়া এবং কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ।

এর আগে, ১১ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধান শুরুর কথা জানায় সংস্থাটি। তাদের অনেকেই এনবিআরের শাটডাউন কর্মসূচির ‘নেতৃত্বে’ ছিলেন।

গুমে সেনা সদস্যের সংশ্লিষ্টতা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা: সেনাসদর
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, কিছু অসাধু কর্মকর্তা করদাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিয়ে নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। নির্ধারিত কর আদায় না করে ঘুষের বিনিময়ে করের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে রাষ্ট্র প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে, ঘুষ না পেয়ে মিথ্যা কর ফাঁকির মামলা দিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে।

এছাড়া করদাতারা যারা আগাম বা অতিরিক্ত কর দেন, নিয়ম অনুযায়ী সেই বাড়তি অর্থ ফেরত পাওয়ার কথা থাকলেও অভিযোগ উঠেছে- টাকা ফেরতের জন্যও ঘুষ দিতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তাদের ঘুষ বা উপহারের দাবি মেটাতে গিয়ে করদাতাকে ফেরতের অর্থের অর্ধেক পর্যন্ত হারাতে হচ্ছে।

দুদক আরও জানায়, অভিযুক্ত পাঁচ কর্মকর্তা বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও ক্ষেত্র বিশেষে আয়কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এনবিআরের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

আপডেট সময় : ০৭:০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

কর ফাঁকি ও ঘুষের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট ঢাকা পূর্ব জোনের কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থলবন্দরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা, উপ-করকমিশনার মো. মামুন মিয়া এবং কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ।

এর আগে, ১১ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধান শুরুর কথা জানায় সংস্থাটি। তাদের অনেকেই এনবিআরের শাটডাউন কর্মসূচির ‘নেতৃত্বে’ ছিলেন।

গুমে সেনা সদস্যের সংশ্লিষ্টতা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা: সেনাসদর
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, কিছু অসাধু কর্মকর্তা করদাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিয়ে নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। নির্ধারিত কর আদায় না করে ঘুষের বিনিময়ে করের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে রাষ্ট্র প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে, ঘুষ না পেয়ে মিথ্যা কর ফাঁকির মামলা দিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে।

এছাড়া করদাতারা যারা আগাম বা অতিরিক্ত কর দেন, নিয়ম অনুযায়ী সেই বাড়তি অর্থ ফেরত পাওয়ার কথা থাকলেও অভিযোগ উঠেছে- টাকা ফেরতের জন্যও ঘুষ দিতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তাদের ঘুষ বা উপহারের দাবি মেটাতে গিয়ে করদাতাকে ফেরতের অর্থের অর্ধেক পর্যন্ত হারাতে হচ্ছে।

দুদক আরও জানায়, অভিযুক্ত পাঁচ কর্মকর্তা বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও ক্ষেত্র বিশেষে আয়কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।