
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা রাত থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। সারা দেশে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। তিনি বলেন, স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নাশকতাকারীদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, কিছু চেষ্টা করা হয়েছিল। সেগুলো প্রতিহত করা হয়েছে।
শনিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবেন, নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। আশা করি উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’
ভোটারদের উদ্দেশে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন বলেন, ‘সাধারণ জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অক্ষুন্ন রাখতে ভোটকেন্দ্রে আসবেন। সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ-আনসার, প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসারা কেন্দ্রে চলে এসেছে। সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট, প্রশাসন মিলে আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে সবাই মিলে দায়িত্ব পালন করবে।’
আইজিপি বলেন, নির্বাচন ঘিরে কেউ নাশকতা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাশকতাকারীর তথ্য দিলে ২০ হাজার থেকে লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তথ্যের গুরুত্বঅনুসারে সেই পুরস্কারের অর্থ ২-৩ লাখও হতে পারে। তবে তথ্যদাতার পরিচয় গোপণ রেখে নাশকতাকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু আসামি গ্রেপ্তার করেছি, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলছি না, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে পরিষ্কার ধারণার চেষ্টা করব। এখনও তদন্ত চলছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে ট্রেনের ভেতর থেকে আগুন দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা সবগুলো ট্রেনে স্থাপন করা হয়েছে। বেনাপোল এক্সপ্রেসে এখনও স্থাপন করা হয়নি। এটি স্থাপন করতে সময় লাগে, এখনও সবগুলা শেষ করতে পারিনি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশের নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল না। দূস্কৃতিকারীরা কাউকে জানিয়ে কিছু করে না। হঠাৎ করে ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে। সবাই প্রস্তুত আছি, যখনই এমন ঘটনা সম্পর্কে তথ্য পাব, ব্যবস্থা নেব। তবে দেশব্যাপী বড় ধরনের নাশকতার কোনো সক্ষমতা নেই।’
রোববার কোনো নাশকতার হুমকি আছে কি-না জানতে চাইলে আইজপি বলেন, ‘এখনও এমন কোনো আশঙ্কা করছি না। সারা দেশে ৪২ হাজার ২৫টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। দূস্কৃতিকারীরা ৮-৯টা কেন্দ্রে হয়তো নাশকতার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা প্রকাশ্যে কিছু করার সাহস পায় না। দেশবাসী ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত। দেশবাসীর সহায়তায় সব ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা বলয় থাকবে।