কালি উঠে যাওয়া নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো নির্বাচন কমিশন
- আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ৭৬ বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়া এবং স্বাক্ষরবিহীন ব্যালটে ভোট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
বুধবার (১৫ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দীন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়গুলো নিয়ে ব্যাখ্যা দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যে কালি ব্যবহার করা হয়, তা জার্মানি থেকে আনা হয় এবং ব্যবহারের পর তা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আমরা চেষ্টা করেও সেই কালি সংগ্রহ করতে পারিনি। তাই নিয়মরক্ষার জন্য সাধারণ কালি ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে ভোটার শনাক্তের মূল মাধ্যম হলো তাদের আইডি কার্ড, ভোটার নম্বর ও তালিকায় থাকা ছবিসংবলিত তথ্য। এসব যাচাই করেই ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে, তাই একজনের জায়গায় অন্যজনের ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই।
স্বাক্ষরবিহীন ব্যালটের বিষয়ে ড. মনির উদ্দীন বলেন, রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, ভোটের শুরুতে একজন কর্মকর্তা ভুলবশত ১২টি ব্যালট স্বাক্ষর ছাড়াই বিতরণ করেছেন। এজন্য আমরা একটি রেজুলেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে উল্লেখ থাকবে—একটি বাক্সে ১২ থেকে ১৩টি স্বাক্ষরবিহীন ব্যালট আছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাই রেজুলেশনে স্বাক্ষর করবে। পরে বাক্স খোলার সময় বিষয়টি স্পষ্ট থাকবে, কোনো বিভ্রান্তি হবে না।
তিনি আরও বলেন, এটি অনেক শিক্ষার্থীর জীবনের প্রথম ভোট। তাদের ভোটদানের সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা গর্বিত। এখন পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট চলছে। কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। নির্বিঘ্ন ভোট নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আইটি ভবন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বের হয়ে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় ও ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি অভিযোগ করেন, ভোটের কালি মুছে যাচ্ছে।
ছাত্রদল প্রার্থী সাজ্জাদ বলেন, ভোট দিয়ে বের হয়ে দেখি আমার আঙুলের কালি উঠে গেছে। এতে একই ব্যক্তি পুনরায় ভোট দিতে পারে—এই আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাব।
শিবির প্রার্থী ইব্রাহিম রনি বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছিল যে এমন কালি ব্যবহার হবে, যা কয়েক দিনেও মুছে যাবে না। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই কালি উঠে যাচ্ছে—এটি উদ্বেগজনক।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসিবুর রহমান রনি অভিযোগ করেন, আইটি ভবনের ২১৪ নম্বর কক্ষে ১৫–২০টি ব্যালট স্বাক্ষর ছাড়াই বাক্সে ফেলা হয়েছে। পরে নির্বাচন কমিশন এসে বিষয়টি যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছে।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।



























