ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১
শিরোনাম ::
ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী অস্ত্রসহ গ্রেফতার ২ মন্দিরে ‘এসি’র পানি ভারতে ‘চরণামৃত’ ভেবে পান করছেন ভক্তরা! নোয়াখালীর নোবিপ্রবিতে পিএইচডি টক অনুষ্ঠিত স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমিক, হত্যা করে বঁটি দিয়ে অণ্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন স্বামী স্বেচ্ছায় পুলিশের চাকরি ছাড়লেন পুলিশ সুপার জন রানা বাঁচতে চায় যুবক রায়হান,দুই কিডনি অকেজো, সাহায্যের আবেদন এক বিএনপি নেতা এতিমের গরু কেড়ে নিল,আর এক বিএনপি নেতা গরু উপহার দিল বিলে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে, যুবককে হত্যা চেষ্টার মামলায়-আমিনুল গ্রেপ্তার শ্রীপুরে স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পরকীয়া প্রেমিক, গলাকেটে হত্যা রাজশাহীতে প্রেমের জেরে নবম শ্রেণির ছাত্র হত্যা, মামলায় স্বামী-স্ত্রী-গ্রেপ্তার

বিএনপির সব নেতাকে ছেড়ে দেয়ার বক্তব্য অস্বীকার কৃষিমন্ত্রীর

‘এক রাতের মধ্যে বিএনপির সব নেতাকে ছেড়ে দেয়া হবে’ এমন কোনো বক্তব্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক কোথাও বলেননি বলে দাবি কৃষি মন্ত্রণালয়ের।

মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রোববার (১৭ ডিসেম্বর) নিজ বাসভবনে চ্যানেল২৪-এ দেয়া কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এবং গণমাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় তিনি সোমবার তার অফিসে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে নিজ বক্তব্যের ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে। তিনি তার স্বভাবসুলভ যুক্তিপূর্ণ ভাষায় নিজ বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা এতটাই স্পষ্ট যে ওই বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো অবকাশ নেই।’

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে আওয়ামী লীগ এদেশের প্রাচীনতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং ঐতিহ্যগতভাবে গণতান্ত্রিকপন্থায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত আন্তরিকভাবে সবসময় চেয়েছে বিএনপি নির্বাচনে আসুক, স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করুক। ওই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী মহল থেকে বিভিন্ন সময় বিএনপিকে শর্তহীন আলোচনার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপি সে সুযোগ গ্রহণ না করে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনের বদলে নির্মম নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে মানুষ হত্যা, পুলিশ হত্যা, হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছে। আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে লাশ বানানোর মতো বর্বরোচিত নাশকতার মাধ্যমে জনমনে চরম ভীতি সঞ্চার ও নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ও সংবিধানকে সমুন্নত রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের ও সন্ত্রাসের মদতদাতাদের গ্রেফতার করা ছাড়া সরকারের কোনো গত্যন্তর ছিল না। একই সাথে তফসিল ঘোষণার পরও বিদ্যমান সংবিধানের আওতায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে বার বার আলোচনায় আসার এমনকি নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েও বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবুও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এসব উদ্যোগের সূত্র ধরেই ড. রাজ্জাক তার বক্তব্য রেখেছেন। তিনি অকপটে খোলাশা করে বলেছেন যে নির্বাচন ভণ্ডুল করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য। বিএনপি যদি তাদের ভুল বুঝতে পেরে নির্বাচনে আসতে রাজি হতো, তাহলে তারা হরতাল, অবরোধ, অগ্নিসন্ত্রাস ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত হতো। তখন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের জামিন পাওয়া সহজ হতো।’

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো চ্যানেল-২৪ কৃষিমন্ত্রীর পুরো বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করেনি। কৃষিমন্ত্রী তার বক্তব্যে কোথাও বলেননি যে এক রাতের মধ্যে বিএনপির সব নেতাকে ছেড়ে দেয়া হবে। এ কারণেই কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের এমন খোলামেলা বক্তব্যকে কোনো কোনো মহল বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আশা করা যায়, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সত্য আপন জ্যোতিতেই উদ্ভাসিত থাকবে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী অস্ত্রসহ গ্রেফতার ২

বিএনপির সব নেতাকে ছেড়ে দেয়ার বক্তব্য অস্বীকার কৃষিমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০৯:৩১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

‘এক রাতের মধ্যে বিএনপির সব নেতাকে ছেড়ে দেয়া হবে’ এমন কোনো বক্তব্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক কোথাও বলেননি বলে দাবি কৃষি মন্ত্রণালয়ের।

মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রোববার (১৭ ডিসেম্বর) নিজ বাসভবনে চ্যানেল২৪-এ দেয়া কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এবং গণমাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় তিনি সোমবার তার অফিসে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে নিজ বক্তব্যের ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে। তিনি তার স্বভাবসুলভ যুক্তিপূর্ণ ভাষায় নিজ বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা এতটাই স্পষ্ট যে ওই বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো অবকাশ নেই।’

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে আওয়ামী লীগ এদেশের প্রাচীনতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং ঐতিহ্যগতভাবে গণতান্ত্রিকপন্থায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত আন্তরিকভাবে সবসময় চেয়েছে বিএনপি নির্বাচনে আসুক, স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করুক। ওই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী মহল থেকে বিভিন্ন সময় বিএনপিকে শর্তহীন আলোচনার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপি সে সুযোগ গ্রহণ না করে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনের বদলে নির্মম নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে মানুষ হত্যা, পুলিশ হত্যা, হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছে। আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে লাশ বানানোর মতো বর্বরোচিত নাশকতার মাধ্যমে জনমনে চরম ভীতি সঞ্চার ও নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ও সংবিধানকে সমুন্নত রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের ও সন্ত্রাসের মদতদাতাদের গ্রেফতার করা ছাড়া সরকারের কোনো গত্যন্তর ছিল না। একই সাথে তফসিল ঘোষণার পরও বিদ্যমান সংবিধানের আওতায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে বার বার আলোচনায় আসার এমনকি নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েও বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবুও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এসব উদ্যোগের সূত্র ধরেই ড. রাজ্জাক তার বক্তব্য রেখেছেন। তিনি অকপটে খোলাশা করে বলেছেন যে নির্বাচন ভণ্ডুল করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য। বিএনপি যদি তাদের ভুল বুঝতে পেরে নির্বাচনে আসতে রাজি হতো, তাহলে তারা হরতাল, অবরোধ, অগ্নিসন্ত্রাস ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত হতো। তখন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের জামিন পাওয়া সহজ হতো।’

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো চ্যানেল-২৪ কৃষিমন্ত্রীর পুরো বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করেনি। কৃষিমন্ত্রী তার বক্তব্যে কোথাও বলেননি যে এক রাতের মধ্যে বিএনপির সব নেতাকে ছেড়ে দেয়া হবে। এ কারণেই কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের এমন খোলামেলা বক্তব্যকে কোনো কোনো মহল বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আশা করা যায়, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সত্য আপন জ্যোতিতেই উদ্ভাসিত থাকবে।’