ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে ডিমলায় বিএনপি’র জাঁকজমকপূর্ণ আনন্দ র্যালি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় : ০৯:৫০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে

ছবি:সায়ের সন্ধানে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ৫ই আগস্ট (২০২৪ইং) এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়, য়া পরবর্তীতে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরিচিতি পায়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নীলফামারীর ডিমলায় জাঁকজমক পূর্ণ বিজয় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়। ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকায় সজ্জিত এই বিজয় মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত প্রায় ২০-২৫ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন।
র্যালি শেষে উপজেলার বিজয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য, নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, নীলফামারী জেলার উন্নয়নের রূপকার এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে,মাটি ও মানুষের নেতা ইঞ্জিনিয়ারচ শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তরুণদের নেতৃত্বে এক প্রতিবাদী জাগরণ, যা আজও গণতন্ত্র রক্ষার প্রেরণা জোগায়।” তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে যে গণতন্ত্রের সংকট চলছে, তা মোকাবিলায় সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এটি শুধু একটি তারিখ নয়, এটি একটি অর্জনের প্রতীক। এটি ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও হিংস্র সরকারের পতনের স্মৃতি বহন করে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক ঐতিহাসিক দিন হিসেবে এই দিনটি আমাদের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে।
ডিমলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির (রংপুর বিভাগ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অধ্যাপক রইসুল আলম চৌধুরী, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা সেতারা সুলতানা, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফ উল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী প্রধান এবং সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (ডিআর) প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির প্রতিটি কর্মী রাজপথে লড়ছে এবং ভবিষ্যতেও লড়বে।”
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তারা ‘জুলাই চেতনা’ ধারণ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।