শ্রীপুরে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে কৃষকের নির্মাণাধীন বসতবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

- আপডেট সময় : ১২:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"source_tags":[],"total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

ছবি:সময়ের সন্ধানে
গাজীপুরের শ্রীপুরে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে কৃষকের নির্মাণাধীন বসতবাড়ি এক প্রভাবশালী ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বিকেলে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম পালোয়ান উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের মৃত আলী পালোয়ানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
অভিযুক্ত প্রভাবশালী একই গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জামান।
আব্দুর রহিম পালোয়ান বলেন, ‘আমি সাধারণ কৃষক। আমার এক ছেলে ও এক মেয়ের গার্মেন্টসে দিনরাত পরিশ্রমের টাকা জমিয়ে বসতঘরটি বানাচ্ছি। আমি একটি কাজে গ্রামের বাইরে যাই। ছেলেমেয়ে গার্মেন্টসে রয়েছে। হঠাৎ করে আসাদ ৩০ থেকে ৪০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে নির্মাণশ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সরিয়ে দিয়ে বসতবাড়িটি ভেঙে দেয়। আমার এত কষ্টের টাকায় নির্মাণ করা ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল। আমরা অসহায় হতদরিদ্র মানুষ বলে প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছি না। বসতবাড়ি থেকে বেশ কিছু রড-সিমেন্ট লুটপাট করে নিয়েছে তারা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসাদ আমার জমি জোরপূর্বক জবরদখল করতে চায়। আমাকে ভয়ভীতি দেখায় রাস্তার পাশের জমি ছেড়ে দিতে। কিন্তু আমি জমি ছাড়তে রাজি না হওয়ায় এই কাজ করল।’
ভুক্তভোগীর ছেলে বলেন, ‘এত কষ্ট করে রাত-দিন গার্মেন্টসে পরিশ্রম করে শরীরের রক্ত পানি করে উপার্জিত টাকা দিয়ে বসতবাড়ি নির্মাণ শুরু করি। নিমিষেই আমাদের বসতবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল।’
অভিযোগের ব্যাপারে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি এখানে ঘরবাড়ি করতে নিষেধ করছি সত্যি। কিন্তু ভাঙচুর করিনি। আমি লোকজন নিয়ে ঘরবাড়ি করতে নিষেধ করেছি। ভাঙচুর করিনি। কী কারণে বাধা দিছি তাকে জিজ্ঞাসা করেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, অনেক সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনেছে। বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র দেখে প্রতিবেশীরা ভয়ে পালিয়ে যান। নিমিষেই নির্মিত বসতবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’