তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

ঝালকাঠির নলছিটিতে তালাক দেওয়ার পর ১৭ দিন আটকে রেখে প্রাক্তন স্ত্রীকে ‘ধর্ষণ’ করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী গোলাম রাব্বির বিরুদ্ধে। 

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে নলছিটি উপজেলা প্রেস ক্লাবে ভুক্তভোগী নারী সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২ আগস্ট গোলাম রাব্বির সঙ্গে বিবাহ হয়। বিবাহের পর সে আমার কাছে যৌতুক দাবি করে শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে আমার পরিবার থেকে তাকে ৭ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। সেই টাকা দিয়ে আমার সাবেক স্বামী আমাকে বরিশাল বেলতলা ভাড়া বাসায় রেখে প্রবাসে চলে যান। প্রবাসে থাকাকালে বিভিন্ন কথা প্রসঙ্গে আমাকে মৌখিক তালাক দেয় এবং চলে যাওয়ার কথা বলে। পরে আমি কাজীর মাধ্যমে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তালাক দিই। সে বিদেশ থেকে আসার পরে গত ১৯ মার্চ ঢাকায় আমার বড় বোনের বাসায় চলে যাই। সেখান থেকে গত ২৯ মার্চ আমাকে সন্তান দেখাতে জোরাজুরি করে বরিশালে নিয়ে আসে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বেলতলা ভাড়া বাসায় তালা দিয়ে রাখে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে আমি তার বাসা থেকে পালিয়ে আসি।

পরে দপদপিয়া কয়া এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। বিবাহ হওয়ার পরে আমার বিরুদ্ধে আদালতে স্বর্ণ ও নগদ টাকা নেওয়ার মিথ্যা মামলা করে সাবেক স্বামী গোলাম রাব্বি। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ছড়ি দেয়। মিথ্যা মামলা দেওয়ার কারণে ১৩ দিন কারাগারে থাকার পরে জামিন হয়। আমাদের হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দেন এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

এদিকে অভিযুক্ত প্রাক্তন স্বামী গোলাম রাব্বি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারীর বর্তমান স্বামী জাহিদুল ইসলাম ও শ্বশুর ইমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৫২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

ঝালকাঠির নলছিটিতে তালাক দেওয়ার পর ১৭ দিন আটকে রেখে প্রাক্তন স্ত্রীকে ‘ধর্ষণ’ করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী গোলাম রাব্বির বিরুদ্ধে। 

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে নলছিটি উপজেলা প্রেস ক্লাবে ভুক্তভোগী নারী সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২ আগস্ট গোলাম রাব্বির সঙ্গে বিবাহ হয়। বিবাহের পর সে আমার কাছে যৌতুক দাবি করে শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে আমার পরিবার থেকে তাকে ৭ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। সেই টাকা দিয়ে আমার সাবেক স্বামী আমাকে বরিশাল বেলতলা ভাড়া বাসায় রেখে প্রবাসে চলে যান। প্রবাসে থাকাকালে বিভিন্ন কথা প্রসঙ্গে আমাকে মৌখিক তালাক দেয় এবং চলে যাওয়ার কথা বলে। পরে আমি কাজীর মাধ্যমে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তালাক দিই। সে বিদেশ থেকে আসার পরে গত ১৯ মার্চ ঢাকায় আমার বড় বোনের বাসায় চলে যাই। সেখান থেকে গত ২৯ মার্চ আমাকে সন্তান দেখাতে জোরাজুরি করে বরিশালে নিয়ে আসে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বেলতলা ভাড়া বাসায় তালা দিয়ে রাখে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে আমি তার বাসা থেকে পালিয়ে আসি।

পরে দপদপিয়া কয়া এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। বিবাহ হওয়ার পরে আমার বিরুদ্ধে আদালতে স্বর্ণ ও নগদ টাকা নেওয়ার মিথ্যা মামলা করে সাবেক স্বামী গোলাম রাব্বি। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ছড়ি দেয়। মিথ্যা মামলা দেওয়ার কারণে ১৩ দিন কারাগারে থাকার পরে জামিন হয়। আমাদের হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দেন এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

এদিকে অভিযুক্ত প্রাক্তন স্বামী গোলাম রাব্বি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারীর বর্তমান স্বামী জাহিদুল ইসলাম ও শ্বশুর ইমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।