প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকর্মীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

- আপডেট সময় : ০৮:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি:সংগৃহীত
নোয়াখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আরেক সহকারী শিক্ষিকার আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকার সচেতন অভিভাবক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিও ফাঁস হওয়া প্রধান শিক্ষকের দাবি ওই সহকারী শিক্ষিকা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে এর পক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে অভিভাবকদের আপত্তির মুখে ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয় আসতে মৌখিক ভাবে নিষেধ করেছেন গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া বেগম। এর আগে, রোববার রাতে ৪ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। সেই শিক্ষকেরা কতটুকু নিচু হলে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়। সেটি আবার নিজেদের মোবাইলে ভিডিও ক্লিপ ধারণ করে। তাদের সেই অশ্লীল ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা শিক্ষকতার মহান পেশায় থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। এটি শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জার বিষয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব ভাটিরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলাল বলেন, ওই শিক্ষিকা আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। বিষয়টি আমার প্রথম স্ত্রীও জানে। ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর লোকজন আমার ওপর হামলা করে জোরপূর্বক আমার মোবাইল, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় তারা এ ভিডিওটি হাতিয়ে নেয়। পরে একটি চক্র ব্ল্যাকমেল করে আমার থেকে টাকা দাবি করে আসছে। আমি থানায় একটি জিডি করেছি। অপরদিকে, এ বিষয়ে জানতে সহকারী শিক্ষিকা গুলশান আরা বেগমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাকিয়া বেগম বলেন, ভিডিওটি অনেক আগের, বিষয়টি তার ব্যক্তিগত। সোমবার সকালে অভিভাবকরা ফাঁস হওয়া ভিডিওর বিষয়ে আমাকে জানিয়েছেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে বিষয়টি জানালে তিনি দুপুরে স্কুল থেকে চলে যান।
হাতিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ফাঁস হওয়া ভিডিওর বিষয়ে আমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাত নাসিমা হাবীব বলেন, বিষয়টি যেহেতু আমার নলেজে এসেছে আমি এটার ব্যবস্থা নেব। বুধবার অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে একটি পত্র দেব।