পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে মায়ের নিথর মরদেহ দেখেন মেয়ে

- আপডেট সময় : ০৮:৪০:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
বাবা-মায়ের কাছে দোয়া চেয়ে পরীক্ষা দিতে যান এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোছা. সাথী খাতুন। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বয়ড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে ফিরেন তিনি। বাড়িতে ফিরে মা মনুজিলা বেগমকে খুঁজে পান না। পরে প্রতিবেশী এক চাচি তাকে তার মায়ের দুর্ঘটনার কথা জানান। দৌড়ে বাড়ির কাছে রাস্তার পাশে মায়ের রক্তাক্ত নিথর মরদেহ দেখে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পরীক্ষার্থী সাথী। রোববার এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের উত্তর বয়ড়া গ্রামে।
সোমবার (৩০ জুন) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোনাতলা থানার ওসি মিলাদুন নবী।
নিহত মনুজিলা বেগম ওই গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উত্তর বয়ড়া গ্রামের শহিদুলের মেয়ে সাথী খাতুন এইচএসসি পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে রওনা হন। মেয়েকে দোয়া করে বিদায় দিয়ে মা মুনজিলা বেগম সোনাতলা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে সোনাতলা-চরপাড়া পাকা রাস্তায় দাঁড়ান। এ সময় সোনাতলা থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি মোটরসাইকেল মুনজিলা বেগমকে সজোরে ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পাকা রাস্তার ওপর পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পরে এলাকাবাসী মোটরসাইকেলচালক শিবগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামের বজলুর রশিদের ছেলে আশিকুর রহমান আশিককে মোটরসাইকেলসহ আটক করে পুলিশে দেয়। সেসময় নিহতের স্বামী, সন্তান ও আত্মীয়স্বজনের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি মিলাদুন নবী বলেন, সংবাদ পেয়ে এখন আমি ঘটনাস্থলে। এ ব্যাপারে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।