সংবাদ শিরোনাম ::
১০ মাসে ১ হাজার ৪৪১ জন সাংবাদিকদের ৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা সীমান্তে টিকটক করতে গিয়ে বাংলাদেশি ২ শিক্ষার্থীকে আটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিরপুর অফিস যেন এক টর্চার সেল আবারও ভরিতে ২ হাজার ১৯২ টাকা বাড়িয়েছে সোনার দাম থাইরয়েড সমস্যা ঘরে ঘরে পরিচিত এক শারীরিক জটিলতা নারায়ণগঞ্জে সানজিদা আক্তার স্মৃতি নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার দলের এক নেত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে, কারণ দর্শানোর নোটিশ নড়বড়ে দেশের অর্থনীতি, কারখানা বন্ধে বাড়ছে বেকারত্ব ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ১৮ জন ২ জনের মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুই নেতার বিরোধ দফায় দফায় সংঘর্ষ, অন্তঃপর..
সংবাদ শিরোনাম ::
১০ মাসে ১ হাজার ৪৪১ জন সাংবাদিকদের ৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা সীমান্তে টিকটক করতে গিয়ে বাংলাদেশি ২ শিক্ষার্থীকে আটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিরপুর অফিস যেন এক টর্চার সেল আবারও ভরিতে ২ হাজার ১৯২ টাকা বাড়িয়েছে সোনার দাম থাইরয়েড সমস্যা ঘরে ঘরে পরিচিত এক শারীরিক জটিলতা নারায়ণগঞ্জে সানজিদা আক্তার স্মৃতি নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার দলের এক নেত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে, কারণ দর্শানোর নোটিশ নড়বড়ে দেশের অর্থনীতি, কারখানা বন্ধে বাড়ছে বেকারত্ব ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ১৮ জন ২ জনের মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুই নেতার বিরোধ দফায় দফায় সংঘর্ষ, অন্তঃপর..

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিরপুর অফিস যেন এক টর্চার সেল

সময়ের সন্ধানে ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিরপুর অফিস যেন এক টর্চার সেল। ব্যবসায়ীকে ধরে এনে নির্যাতন করে ব্লাঙ্ক চেক ও স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক সাদমান সানজিদ ও রিফাতুল হক শাওনের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে আছেন শাহ আলী থানার সদস্যসচিব পারভেজসহ আট থেকে দশ জন।
ভিডিও ফুটেজ এবং বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ সদস্যই এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ছোট ভাই পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ান মিরপুরজুড়ে। তারা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে তোলা একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ ও বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তাদের দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে মিরপুরে অবস্থিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে গেলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে জানান, নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি দেখিয়ে, তার ছোট ভাই দাবি করে বদলিসহ বিভিন্ন বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করেন তারা।
ভুক্তভোগী একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমাকে ধরে এনে ইচ্ছামতো মারছে, থাপ্পড় মারছে।

তবে ভয় দেখানোর চেষ্টা শুধু বিভিন্ন দপ্তরে নয়; তাদের ত্রাসের রাজত্ব থেকে বাদ যায়নি মিরপুরের বিভিন্ন বসতবাড়িও। কয়েকদিন আগে হামলার পাশাপাশি তারা লুটপাট চালায় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার বিচার চাওয়া তো দূরে থাক সে ঘটনা মনে করতেই ভয়ে আঁতকে ওঠেন ভুক্তভোগীরা।
তারা বলেন, আমরা মেন্টালি অভিযোগ জানানোর পর্যায়ে নাই। আমাদের বাচ্চারা শেষ হয়ে যাবে। বাচ্চাগুলা এখনো ট্রমার কারণে ঘুমাতে পারে না। ওরা জাস্ট জানতে পারলেই আমাদের বাসার সামনে সব নিয়ে হাজির হবে। আপনারা তো দুজনের নাম দিয়েছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, এদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি করেন নাহিদ।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ফোনও রিসিভ করেননি মুখপাত্র উমামা ফাতিমা। দেননি ফোনে পাঠানো মেসেজের জবাবও।

তাহলে নাহিদ ইসলামের সঙ্গে তোলা ছবি পুঁজি করেই কি মিরপুরে ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছেন সাদমান-শাওনরা। জানতে চাইলে তারা দাবি করেন, কারো পরিচয়ে তারা প্রভাব বিস্তার করেননি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অপরাধে হামলা ও ধরে এনে পিটিয়েছেন। তারা আওয়ামী লীগের কিছু নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য পাচার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিরপুর অফিস যেন এক টর্চার সেল

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিরপুর অফিস যেন এক টর্চার সেল। ব্যবসায়ীকে ধরে এনে নির্যাতন করে ব্লাঙ্ক চেক ও স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক সাদমান সানজিদ ও রিফাতুল হক শাওনের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে আছেন শাহ আলী থানার সদস্যসচিব পারভেজসহ আট থেকে দশ জন।
ভিডিও ফুটেজ এবং বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ সদস্যই এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ছোট ভাই পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ান মিরপুরজুড়ে। তারা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে তোলা একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ ও বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তাদের দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে মিরপুরে অবস্থিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে গেলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে জানান, নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি দেখিয়ে, তার ছোট ভাই দাবি করে বদলিসহ বিভিন্ন বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করেন তারা।
ভুক্তভোগী একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমাকে ধরে এনে ইচ্ছামতো মারছে, থাপ্পড় মারছে।

তবে ভয় দেখানোর চেষ্টা শুধু বিভিন্ন দপ্তরে নয়; তাদের ত্রাসের রাজত্ব থেকে বাদ যায়নি মিরপুরের বিভিন্ন বসতবাড়িও। কয়েকদিন আগে হামলার পাশাপাশি তারা লুটপাট চালায় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার বিচার চাওয়া তো দূরে থাক সে ঘটনা মনে করতেই ভয়ে আঁতকে ওঠেন ভুক্তভোগীরা।
তারা বলেন, আমরা মেন্টালি অভিযোগ জানানোর পর্যায়ে নাই। আমাদের বাচ্চারা শেষ হয়ে যাবে। বাচ্চাগুলা এখনো ট্রমার কারণে ঘুমাতে পারে না। ওরা জাস্ট জানতে পারলেই আমাদের বাসার সামনে সব নিয়ে হাজির হবে। আপনারা তো দুজনের নাম দিয়েছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, এদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি করেন নাহিদ।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ফোনও রিসিভ করেননি মুখপাত্র উমামা ফাতিমা। দেননি ফোনে পাঠানো মেসেজের জবাবও।

তাহলে নাহিদ ইসলামের সঙ্গে তোলা ছবি পুঁজি করেই কি মিরপুরে ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছেন সাদমান-শাওনরা। জানতে চাইলে তারা দাবি করেন, কারো পরিচয়ে তারা প্রভাব বিস্তার করেননি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অপরাধে হামলা ও ধরে এনে পিটিয়েছেন। তারা আওয়ামী লীগের কিছু নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য পাচার করে।