রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট

- আপডেট সময় : ০৬:০৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

রাজশাহীর-বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক ইটভাটায় শুরু হয়েছে ইট তৈরীর কাজ। এসব ইটভাটার অধিকাংশেই পোড়ানো হচ্ছে কয়লার বদলে কাঠ। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রহীন এসব ইট ভাটার অধিকাংশই গড়ে ওঠেছে আবাদি জমি ও লোকালয়ে। ফলে এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পরিবেশ। কমছে কৃষি জমির পরিমান ও ফসল উৎপাদন। ভাটা মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। কেউ কেউ ঝামেলা থেকে নিজেদের রক্ষার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।নাম জানাতে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, সদ্য নির্মিত উপজেলার বিভিন্ন পাকা সড়ক দিয়ে দিনরাত চলছে ইট ও মাটি বোঝাই ট্রাক। এসব ট্রাকের কারণে অল্পদিনেই নতুন রাস্তা ভেঙ্গেচুরে একাকার হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া দিনের বেলা রাস্তায় ধূলা উড়িয়ে এসব ট্রাক চলাচলের কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ।এছাড়া কয়লার মূল্য বেশি হওয়ায় অনেক ভাটায় এখন কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। উপজেলার তাহেরপুর, গোয়ালকান্দি ও যোগীপাড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু ইটভাটাতে এমন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ভাটাগুলোর মধ্যে তাহেরপুর রামরামায় জামাল উদ্দীনের জলি-১, আবুল কালাম আজাদ জলি-২, আব্দুস সালাম ভিআইপি, কামারখালী হাবিবুর রহমান- এসএসএন, শ্রীপুর জামতলায় মেসার্স কেএআর বিক্সসহ উপজেলার পশ্চিম বাগমারায় বিভিন্ন ড্রামচিমনির ইটভাটাগুলোতে পোড়ানো হচ্ছে কয়লার পরিবর্তে কাঠ।
স্থানীয়দের মতে এসব কাঠের অধিকাংশই চোরাই পথে নিয়ে আসা হয় ইটভাটাতে। কিছু সংঘবদ্ধ চক্র ভাটা মালিকের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে রাতের বেলায় সরকারি বিভিন্ন রাস্তার গাছ কেটে সরবরাহ করে ইটভাটায়।গোয়ালকান্দি এলাকার জনৈক ইটভাটার মালিক জানান, আগে প্রতিটন কয়লা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় পাওয়া যেত। এখন তার দাম বেড়ে হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। ফলে ইটভাটা মালিকরা এখন কয়লার পরিবর্তে কাঠের প্রতি ঝুকে পড়েছেন বেশি। তার মতে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হয়ে থাকে বেশী। ফলে তারা তুলনামূলক কম দামে ইট বিক্রি করতে পারে যা কয়লায় পোড়ানো বৈধ ভাটায় সম্ভব হয়না। ছাড়পত্রবিহীন অবৈধ ইটভাটা সম্পর্কে বাগমারা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মেসার্স মুন ব্রিকসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম হেলাল বলেন, এই বিষয়গুলোকে আমরা সমিতির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি একাধিকবার। কিন্তু অদ্যবধি কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ ব্যপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম বলেন, অবৈধ ড্রাম চিমনির ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। আর কয়লার বদলে যেখানে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে সেসব ইটভাটার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। অচিরেই সেই সকল ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।