বিচার না পেয়ে হতাশ মেয়েটি আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন। ছবি:সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাবার খুনের আর নিজের ধর্ষণের বিচার না পেয়ে হতাশ হয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন কিশোরী। গত ৭ বছর আগে কেয়ামত ঘটে যাওয়া এই পরিবারটি জানায় অতিরিক্ত চাপ সইতে না পেরে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) মেয়েটির আইনজীবী ইশরাত হাসান চ্যানেল 24-কে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মেয়েটি আত্মহত্যা করলেও বিস্তারিত তিনি জানাতে পারেননি। কারণ তার পরিবারের সদস্যরা ফোন দিয়ে মারা যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, তারা ধর্ষণের মামলাটিতে যেনো অপরাধীদের বিচার হয় সেটি নিশ্চিত করতে হাইকোর্টে আবেদন করবেন।
মেয়েটিকে নিয়ে গত ৩০ মার্চ চ্যানেল 24-এ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে সময় কিশোরী জানান, বাবার খুনের বিচার আর ভাইয়ের জীবন নষ্ট করার জন্যে মামলা করা হলে বাড়িতে এসে অনেক হুমকি-ধমকি দেয়া হয় মামলাটি তুলে নেয়ার জন্যে। মামলা উঠায় না নিলে নাকি তাদের বাড়ির যাকে পাবে তাকেই মারবে।
পরবর্তীতে সেই পরিবার মামলা উঠায় না নেয়ায় তারা কিশোরীকে তুলে নিয়ে একটি বাড়িতে ২০ থেকে ২৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এই অপহরণ এবং ধর্ষণ মামলায় মোট ৪ জন আসামি। এই চারজনের মধ্যে একজন রফিকুল ইসলাম, যাকে নিম্ন আদালত অব্যাহতি দেন। এর বিরুদ্ধে সেই কিশোরী আপিল করেন।
বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরীর বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করে। ধর্ষণ মামলা প্রমাণিত হলে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে বিচার দেখার আগের দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন সেই কিশোরী।
এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সে সময় হাইকোর্ট জানতে চান, মামলার সব আলামত মেলার পরও কিভাবে চার্জ শুনানির সময় একজন ধর্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়? এরপর নারায়ণগঞ্জ আদালতের আদেশ বাতিল করে রফিকুলকে আসামি করার নির্দেশ দেয়া হয়। এই ধর্ষণ মামলাটি বর্তমানে ফের অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে।
সূত্র:চ্যানেল 24