মেঘনার এক ইলিশ নিলামে বিক্রি হলো ৮৭০০ টাকায়

- আপডেট সময় : ১১:১৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

ছবি:সংগৃহীত
রোববার (১৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে ইলিশটি নিলামে বিক্রি করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন মাছটি কিনে নেন।
জানা যায়, ভোলার দৌলত খাঁ এলাকার মফিজ মাঝি মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই ইলিশটি পান। তারপর তিনি চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন সেটি। আবদুল হালিম আজাদ নিলামের ডাক দিলে মাছটি আট হাজার ৭০০ টাকায় কিনে নেন নিজাম উদ্দিন। এতো বড় ইলিশ মাছ পাওয়ার খবর পেয়ে দেখতে অনেকে ভিড় জমান।
জেলে মফিজ মাঝি বলেন, নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা পাওয়া যাচ্ছে তা সাইজে অনেক বড়। রোববার সকালে আমি নদীতে জাল ফেলেছি। দুপুরে জাল উঠিয়েছি। এতে অন্যান্য মাছের সঙ্গে বড় একটা ইলিশ ধরা পড়ে। পরে বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে নিয়ে আড়তে মাছটির ডাক ওঠানো হয়। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো দাম পেয়েছি।
চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ বলেন, সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কাছাকাছি নদীতে মাছ ধরছেন জেলেরা। মেঘনা নদীতে এখন ভরা মৌসুম থাকলেও ইলিশ তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে গত কয়েকদিন এক কেজি ওজনের ইলিশ বেশি আসছে। মফিজ মাঝির জালে ধরা পড়া প্রায় তিন কেজি ওজনের ইলিশ চমক ছিল। এতো বড় ইলিশ সচরাচর পাওয়া যায় না। বড় ইলিশ হওয়ায় দাম বেশি হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, ইদানিং আমরা বড় বড় ইলিশ পাওয়ার খবর পাচ্ছি। এটা জেলে, ব্যবসায়ী, আড়তদারসহ সবার জন্য খুশির খবর। মূলত সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করেছে।
তিনি আরও বলেন, মাছের জন্য নিরাপদ অভয়াশ্রম তৈরি এবং সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে এখন মাছ যেমন বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি মাছের বংশবৃদ্ধি এবং উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে মাছ কম পেলেও সামনে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ আরও বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।