নকলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এ.কে.এম মাহবুবুল আলম সোহাগ এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবু হামযা কনক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে লাকী আক্তার বিজয়ী। ছবি:সংগৃহীত
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এ.কে.এম মাহবুবুল আলম সোহাগ এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবু হামযা কনক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে লাকী আক্তার বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ.কে.এম মাহবুবুল আলম সোহাগ, দোয়াত-কলম প্রতীকে ২০ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ মোকশেদুল হক শিবলু, কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ২১৩ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্র লীগের আহবায়ক আবু হামযা কনক চশমা প্রতীকে ৩১ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু পেয়েছেন ২৭ হাজার ১৪২ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে গত দুই বারের পরাজিত লাকী আক্তার, প্রজাপতি প্রতীকে ৬১ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের সদ্যসাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ ফরিদা ইয়াসমিন, হাঁস প্রতীকে ৮ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, আনারস প্রতীকে ১৬ হাজার ১০৭ ভোট; উপজেলা পরিষদের দুই বারের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, ঘোড়া প্রতীকে ১৩ হাজার ১৬ ভোট ও উপজেলা পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ বোরহান উদ্দিন, মোটর সাইকেল প্রতীকে ১১ হাজার ৬৯৫ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মামুন হোসেন, উড়োজাহাজ প্রতীকে ১১ হাজার ২৫৭ ভোট; ৭নং টালকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন আকন্দ, তালা প্রতীকে ৫ হাজার ৪৫১ ভোট; উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ রেজাউল করিম, টিউবওয়েল প্রতীকে ৪ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অন্যান্যদের মধ্যে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ কহিনুর বেগম, কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৯৩ ও ৪নং গৌড়দ্বার ইউপির চেয়ারম্যানের স্ত্রী আলেয়া পারভিন, ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৪ ভোট।
সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন জানান, উপজেলার কোথাও গোলযোগের তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রতিটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটারগন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭৯ টি ভোট কেন্দ্রের ৪৬৪ টি ভোটকক্ষে (বুথে) গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হয়।
তিনি আরো জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৬ জন। এতে পুরুষ ভোটার ৮৮ হাজার ৩৭৬ জন এবং নারী ভোটার ৯১ হাজার ২৩০ জন।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৪৬৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৯২৮ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যগন নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করেছেন।