
আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্য এবং নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আয়োজনে এ নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
ইতোমধ্যে দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী-এমপিদের আওয়ামী লীগ প্রধানের এ নির্দেশনা জানানো শুরু করেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, দলের মন্ত্রী, এমপি, সাবেক এমপি, বড় নেতাদের ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী, ভাই-ভাতিজাসহ আত্মীয় স্বজনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য, যাতে কেউ নির্বাচকে প্রভাবিত করতে না পারে সে জন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাছিম আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশের কথা সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের জানিয়েছেন। তারা দলের পক্ষ থেকে সভাপতির এ নির্দেশ সব জেলা-উপজেলার নেতা-মন্ত্রী-এমপি যারা আছেন তাদেরকে অবহিত করছেন। আমরা সবাই বিষয়টি সমন্বয় করছি, যাতে শেখ হাসিনার নির্দেশ কার্যকর হয়।
সূত্র জানায়, দলের প্রধানের নির্দেশনা পেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠক করেন। বৈঠকে এ ধরনের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয় এবং পরে তা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপ-দপ্তর সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এই সময় ওবায়দুল কাদের দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরকে সারা দেশে মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাদের স্বজন ও পরিবারের সদস্য নির্বাচন করছেন, তার তালিকা তৈরিরও নির্দেশ দেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনও বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, এমপি-মন্ত্রীরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারাও বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
দেশে ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টিতে ভোট হবে। পরে মেয়াদ শেষ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে।