অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, চার জেলায় বন্যার সতর্কতা

- আপডেট সময় : ০৮:০৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি:সংগৃহীত
উত্তরাঞ্চলের তিস্তা নদীর পানি আগামী দুই দিনে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি সতর্কসীমা ছুঁতে পারে। এর ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গাইবান্ধার কিছু এলাকাও সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
সোমবার (৪ আগস্ট) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, জিঞ্জিরাম, ভুগাই, কংস, লুবাছড়া, ঝালুখালি নদীসমূহের পানি সমতলে আগামী তিনদিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সময়ে উক্ত নদীসমূহের পানি সমতলে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
এর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
সিলেটের মনু, ধলাই ও খোয়াই নদের পানি আগামী দুই দিনে বাড়বে, যদিও এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতেও পানি বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের মহানন্দা, করতোয়া, ঘাঘট, আপার আত্রাই ও পুনর্ভবা নদীর পানি বাড়তে পারে।চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, গোমতী ও নোয়াখালী খালের পানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে গঙ্গা ও পদ্মার পানি বাড়লেও এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ধরলা ও দুধকুমারের নিম্নাঞ্চলেও সতর্কতা রয়েছে।
বন্যায় বাঁধের ঝুঁকি প্রশ্নে পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আপাতত জেলায় কোনও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ঝুঁকি নেই। তারপরও আমরা নজরদারি রাখছি। আশা করছি, কোনও সমস্যা হবে না।