আবাসিক হোটেল থেকে আটকদের দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়, অতঃপর… 

বগুড়া প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি  : সংগৃহীত

বগুড়ায় একটি আবাসিক হোটেলে অভিযানে ১০ জন নারী ও ২ জন পুরুষকে আটক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পরে অভিযানে আটকদের চেহারা দেখতে উৎসব জনতা হট্টগোল করলে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হয়।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় শহরতলীর বারপুর এলাকার ‘ড্রিম প্যালেস’ নামের হোটেলে এই অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় ওই হোটেলটি সিলগালা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের দেখা নিয়ে স্থানীয় জনগণ ভিড় করছিল। তাই আটকদের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হয়।

সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ড্রিম প্যালেস নামে ওই আবাসিক হোটেলে বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল। অভিযানে কয়েক জন নারী আটক হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় করতে থাকে। স্থানীয়রা আটক ব্যক্তিদের দেখার জন্য হট্টগোল শুরু করে।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর সেনাবাহিনীর প্রহরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক ব্যক্তিদের নিয়ে চলে আসে।

এ বিষয়ে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় জনতার সঙ্গে আদালতের কারো সমস্যা হয়নি। তারা আটক ব্যক্তিদের চেহারা দেখার জন্য জোর করছিল। সে সময় একটা শঙ্কা হয়েছিল আটকদের নিরাপত্তা নিয়ে। এ জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হয়।

বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির গণমাধ্যমকে বলেন, হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে। যাদের আটক করা হয়েছে, তারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আবাসিক হোটেল থেকে আটকদের দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়, অতঃপর… 

আপডেট সময় : ১০:০৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

ছবি  : সংগৃহীত

বগুড়ায় একটি আবাসিক হোটেলে অভিযানে ১০ জন নারী ও ২ জন পুরুষকে আটক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পরে অভিযানে আটকদের চেহারা দেখতে উৎসব জনতা হট্টগোল করলে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হয়।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় শহরতলীর বারপুর এলাকার ‘ড্রিম প্যালেস’ নামের হোটেলে এই অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় ওই হোটেলটি সিলগালা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের দেখা নিয়ে স্থানীয় জনগণ ভিড় করছিল। তাই আটকদের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হয়।

সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ড্রিম প্যালেস নামে ওই আবাসিক হোটেলে বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল। অভিযানে কয়েক জন নারী আটক হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় করতে থাকে। স্থানীয়রা আটক ব্যক্তিদের দেখার জন্য হট্টগোল শুরু করে।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর সেনাবাহিনীর প্রহরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক ব্যক্তিদের নিয়ে চলে আসে।

এ বিষয়ে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় জনতার সঙ্গে আদালতের কারো সমস্যা হয়নি। তারা আটক ব্যক্তিদের চেহারা দেখার জন্য জোর করছিল। সে সময় একটা শঙ্কা হয়েছিল আটকদের নিরাপত্তা নিয়ে। এ জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হয়।

বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির গণমাধ্যমকে বলেন, হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে। যাদের আটক করা হয়েছে, তারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।