কদমতলীতে মা-মেয়ে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

সময়ের সন্ধানে ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:১৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

রাজধানীর কদমতলী এলাকায় ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ জুলাই) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নার্গিস ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. আল-আমিন, মো. মিরাজ মোল্লা ও নুর আলম।

রায় ঘোষণার সময় আল-আমিন ও মিরাজ মোল্লাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, পলাতক থাকা আসামি নুর আলমের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম তুষার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের স্বামীর আগের স্ত্রী ও অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ২০১০ সালের ৮ মে ইয়াসমিন ও তার মেয়ে তানহাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ও হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় ইয়াসমিনের ভাই মনির হোসেন কদমতলী থানায় মামলা করেন।

২০১০ সালের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষ ১৫ জনের সাক্ষ্য উপস্থাপন করে।সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কদমতলীতে মা-মেয়ে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ১০:১৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

রাজধানীর কদমতলী এলাকায় ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ জুলাই) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নার্গিস ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. আল-আমিন, মো. মিরাজ মোল্লা ও নুর আলম।

রায় ঘোষণার সময় আল-আমিন ও মিরাজ মোল্লাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, পলাতক থাকা আসামি নুর আলমের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম তুষার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের স্বামীর আগের স্ত্রী ও অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ২০১০ সালের ৮ মে ইয়াসমিন ও তার মেয়ে তানহাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ও হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় ইয়াসমিনের ভাই মনির হোসেন কদমতলী থানায় মামলা করেন।

২০১০ সালের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষ ১৫ জনের সাক্ষ্য উপস্থাপন করে।সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।