৮ মে পালন করা হয় ‘বিশ্ব গাধা দিবস’ গাধা কি আসলেই বোকা?যা বলছে গবেষণা..

- আপডেট সময় : ০২:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"source_tags":[],"total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

‘গাধা’ ছবি:সংগৃহীত
ছোটবেলা থেকে যে প্রাণীটির নাম আমাদের প্রায়ই শুনতে হয় সেটি হলো ‘গাধা’। অনেক সময় বোকা বোঝাতে, কখনও আবার পরিশ্রমী বোঝাতে। সাধারণত পরিশ্রমী প্রাণী গাধাকে বোকাসোকা বলেই মনে করে মানুষ।
তাই, আমাদের মানবসমাজে কোনো ভুল করলেই গাধার সঙ্গে তুলনা করা যেন একটি রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে! যদিও আমরা অনেকে গাধা দেখিনি। তবুও ব্যাঙ্গাত্মক হিসেবে কারও কারও উপাধি হয়ে দাঁড়ায় গাধা!
আপনাকেও হয়তো একদিন কেউ গাধা বলেছিল, সেই কথাতে বেশ কষ্টও পেয়েছিলেন। কিন্তু আজ সেই কষ্টের কথা ভুলে যান।
আজ যদি কেউ আপনাকে গাধার সঙ্গে তুলনা করেই ফেলে, তাহলে একটুও রাগ করবেন না। কারণ আজ বিশ্ব গাধা দিবস। প্রাণীটির প্রতি সচেতনতা ও ভালোবাসা তৈরির উদ্দেশ্যে প্রতি বছরের ৮ মে পালন করা হয় ‘বিশ্ব গাধা দিবস’।
আচ্ছা, আমরা গাধাকে যতটা বোকা ভাবি, গাধা কী আসলে ততটা বোকা?
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা কাজে-কর্মে একটু কম দক্ষ বা বুদ্ধি একটু কম। এমন মানুষদের আমরা হরহামেশাই গাধা বলে সম্বোধন করে থাকি। তবে শব্দটি নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হলেও গবেষণার তথ্য বলছে, গাধা কিন্তু মোটেও বোকা প্রাণী নয়! আর পাঁচটা প্রাণীর চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান, কর্মঠ, এবং উপকারী প্রাণীও বটে।
কেউ কিছু ভুলে গেলে আমরা তাকে গাধা বলে বকা দিলেও গাধার রয়েছে অবিশ্বাস্য স্মৃতিশক্তি। ২৫ বছর আগে দেখা এলাকা, এমনকি বহু বছর আগে দেখা গাধাদের সহজেই চিনতে পারে এই প্রাণী। একইসঙ্গে গাধা প্রচণ্ড জেদিও হয়ে থাকে, আত্মরক্ষা করার প্রবল ক্ষমতা রয়েছে তাদের।
এদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এরা প্রখর কৌতূহলী। কোনো ঘটনায় গাধা সহজে চমকে ওঠে না। তাদেরকে ভয় দেখিয়ে বা জোর করে কোনো কাজ করিয়ে নেয়া খুব কঠিন ব্যাপার। এদের চিন্তাধারা ঘোড়ার থেকে স্বাধীন। একটি গাধা মরু পরিবেশে ৬০ মাইল দূরে থেকে অন্য গাধার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। ঘোড়ার থেকে তাদের আছে অনেক বড় কান, যা তাদের শরীর শীতল রাখে।
বিশ্ব সভ্যতার ঐতিহ্য গড়তেও গাধাদের ভূমিকা কম নয়। কারণ, ভারি সব উপকরণ বহন করতে ব্যবহার করা হয়েছে গাধাকে। মিশরীয় ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর অধিকাংশ ধাতু বহন করা হয়েছিলো গাধার মাধ্যমে। শুধু তাই না, গ্রিসে সংকীর্ণ পথের ওপর কাজ করার জন্যও গাধা ব্যবহার করা হয়েছিলো। রোমান আর্মিরা গাধাকে কৃষিপালিত ও পণ্য বহনকারী প্রাণী হিসেবে ব্যবহার করতো।
ভারতের রাজস্থান ও জয়পুরের অন্যতম বাহন গাধা। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় জিনিসপত্র নিয়ে এরা সহজে চলাফেরা করতে পারে।
পশুপালকদের কাছে গাধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। একজন দক্ষ পশুপালক পশুদের নেতা হিসেবে শক্তিশালী গাধাকে বেছে নেবেন। কারণ, খামারে পালন করা পশুরা অন্য হিংস্র পশু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু গাধা নেকড়ে বাঘ বা অন্য শিকারীর হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করতে পারে সংকেত জানিয়ে।
গাধা কোনো দিক দিয়েই আমাদের জন্য ক্ষতিকর প্রাণী নয়। তারা মানুষ ও পশুকে শুধু উপকারই করে। গাধাদের বোকা প্রাণী বলা হলেও, উপরের তথ্যগুলো জানার পর নিশ্চয় কেউ গাধাকে শুধু বোকা বলবেন না। এখন থেকে অন্যকে গাধা বলার আগে নিশ্চয় একবার ভেবে নেবেন।