সংবাদ শিরোনাম ::
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যে নতুন তথ্য দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর কৃষকের কামড়ে প্রাণ গেল সাপে জুলাই সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকবে না: নাহিদ ইসলাম জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাবে যা বললেন মির্জা ফখরুল ‘নতুন নেতৃত্ব, নতুন বাংলাদেশ’ স্লোগানে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে: জামায়াত আমির বিশ্ববিদ্যালয়ে গাঁজা-মদ বন্ধ হয়েছে, ডালের ঘনত্ব বেড়েছে: তাহের সেতু থেকে তরুণীর নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা, এরপর যা হলো  হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে শাহজালালের পোড়া কার্গো কমপ্লেক্স থেকে এবার মোবাইল চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত শ্রীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে সেনাবাহিনীর সতর্কবার্তা
সংবাদ শিরোনাম ::
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যে নতুন তথ্য দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর কৃষকের কামড়ে প্রাণ গেল সাপে জুলাই সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকবে না: নাহিদ ইসলাম জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাবে যা বললেন মির্জা ফখরুল ‘নতুন নেতৃত্ব, নতুন বাংলাদেশ’ স্লোগানে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে: জামায়াত আমির বিশ্ববিদ্যালয়ে গাঁজা-মদ বন্ধ হয়েছে, ডালের ঘনত্ব বেড়েছে: তাহের সেতু থেকে তরুণীর নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা, এরপর যা হলো  হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে শাহজালালের পোড়া কার্গো কমপ্লেক্স থেকে এবার মোবাইল চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত শ্রীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে সেনাবাহিনীর সতর্কবার্তা

আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষ, বিএনপির ২ নেতা গুলিবিদ্ধ

পাবনা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি: সংগৃহীত

১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনায় এক মালয়েশিয়াপ্রবাসীর বাড়িতে অতর্কিত হামলা ও গুলির অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ ও একজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

‎গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ইউনিয়নের চোকদারপাড়া গ্রামের রজব আলী শেখের ছেলে, চরতারাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ শফি (৪৫) ও দাসপাড়া গ্রামের মনতাজ আলী খানের ছেলে বিএনপি নেতা টিক্কা খান (৪৭)। আহত ব্যক্তি হলেন দাসপাড়া গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আবুল কাশেম বিশ্বাস (৫০)। তিনি মালয়েশিয়াপ্রবাসী বলে জানা গেছে।

‎অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন চরতারাপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের হকেন প্রামাণিকের ছেলে, চরতারাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রামাণিক এবং তার দুই সহযোগী একই গ্রামের সাহের মোল্লার ছেলে তনসের মোল্লা ও মজিবর বিশ্বাসের ছেলে শামীম বিশ্বাস।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কাশেম বিশ্বাস, শেখ শফি, টিক্কা খানসহ কয়েকজন বসে কথা বলছিলেন। এমন সময় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রামাণিকের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলযোগে এসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করেন। এ সময় তারা বাড়ির গোয়ালঘরের পেছন থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করেন। এরপর স্কুলের সামনে এসে আবারও গুলি করেন। এ সময় বিএনপি নেতা শেখ শফি গুলিবিদ্ধ হন। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা টিক্কা খানকে গুলি করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেখ শফির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

‎‎ভুক্তভোগী মালয়েশিয়াপ্রবাসী আবুল কাশেম বিশ্বাস বলেন, ১৭ বছর ধরে আমি মালয়েশিয়ায় থাকি। আমরাও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যুবদলের সালাম প্রামাণিক প্রায়ই চাঁদার দাবিতে আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিত। আমি চলতি মাসের ৫ তারিখে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসি। আসার পর যুবদলের এসব নেতা আবারও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি বলি যে আমিও তো বিএনপি করি, তাহলে বিএনপি করে বিএনপিকে চাঁদা দিতে হবে কেন। এসব আবদার পূরণ না করায় আমার বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় আমার সঙ্গে বসে থাকা দুজনকে গুলি করে। আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে চলে যায়।

আবুল কাশেম আরও বলেন, এই চক্র সালিস-বাণিজ্য, অবৈধ বালু ব্যবসা, মাদক কারবার, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এসব সন্ত্রাসীর দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করেন তিনি।

‎অভিযুক্ত আব্দুস সালাম প্রামাণিক বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি এখানের কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নই।

‎এ বিষয়ে পাবনা জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মনির হোসেন বলেন, ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। প্রকৃত তদন্ত হবে। তদন্তে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোপূর্বে আমরা যত অভিযোগ পেয়েছি, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

‎পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রবাসে থাকা অবস্থায় আবুল কাশেম যুবদল নেতা সালামদের বালুর ব্যবসা নিয়ে লেখালেখি করতেন। বিদেশ থেকে বাড়ি আসার পর আবুল কাশেমের সঙ্গে শেখ শফি ও টিক্কাকে মিশতে নিষেধ করেছিলেন সালাম। এর জেরে ইউনিয়ন যুবদল নেতার নেতৃত্বে গুলির ঘটনা ঘটে। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শটগানের গুলির দুটি খোসা পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষ, বিএনপির ২ নেতা গুলিবিদ্ধ

আপডেট সময় : ০৮:০১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনায় এক মালয়েশিয়াপ্রবাসীর বাড়িতে অতর্কিত হামলা ও গুলির অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ ও একজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

‎গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ইউনিয়নের চোকদারপাড়া গ্রামের রজব আলী শেখের ছেলে, চরতারাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ শফি (৪৫) ও দাসপাড়া গ্রামের মনতাজ আলী খানের ছেলে বিএনপি নেতা টিক্কা খান (৪৭)। আহত ব্যক্তি হলেন দাসপাড়া গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আবুল কাশেম বিশ্বাস (৫০)। তিনি মালয়েশিয়াপ্রবাসী বলে জানা গেছে।

‎অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন চরতারাপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের হকেন প্রামাণিকের ছেলে, চরতারাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রামাণিক এবং তার দুই সহযোগী একই গ্রামের সাহের মোল্লার ছেলে তনসের মোল্লা ও মজিবর বিশ্বাসের ছেলে শামীম বিশ্বাস।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কাশেম বিশ্বাস, শেখ শফি, টিক্কা খানসহ কয়েকজন বসে কথা বলছিলেন। এমন সময় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রামাণিকের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলযোগে এসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করেন। এ সময় তারা বাড়ির গোয়ালঘরের পেছন থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করেন। এরপর স্কুলের সামনে এসে আবারও গুলি করেন। এ সময় বিএনপি নেতা শেখ শফি গুলিবিদ্ধ হন। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা টিক্কা খানকে গুলি করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেখ শফির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

‎‎ভুক্তভোগী মালয়েশিয়াপ্রবাসী আবুল কাশেম বিশ্বাস বলেন, ১৭ বছর ধরে আমি মালয়েশিয়ায় থাকি। আমরাও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যুবদলের সালাম প্রামাণিক প্রায়ই চাঁদার দাবিতে আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিত। আমি চলতি মাসের ৫ তারিখে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসি। আসার পর যুবদলের এসব নেতা আবারও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি বলি যে আমিও তো বিএনপি করি, তাহলে বিএনপি করে বিএনপিকে চাঁদা দিতে হবে কেন। এসব আবদার পূরণ না করায় আমার বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় আমার সঙ্গে বসে থাকা দুজনকে গুলি করে। আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে চলে যায়।

আবুল কাশেম আরও বলেন, এই চক্র সালিস-বাণিজ্য, অবৈধ বালু ব্যবসা, মাদক কারবার, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এসব সন্ত্রাসীর দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করেন তিনি।

‎অভিযুক্ত আব্দুস সালাম প্রামাণিক বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি এখানের কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নই।

‎এ বিষয়ে পাবনা জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মনির হোসেন বলেন, ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। প্রকৃত তদন্ত হবে। তদন্তে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোপূর্বে আমরা যত অভিযোগ পেয়েছি, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

‎পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রবাসে থাকা অবস্থায় আবুল কাশেম যুবদল নেতা সালামদের বালুর ব্যবসা নিয়ে লেখালেখি করতেন। বিদেশ থেকে বাড়ি আসার পর আবুল কাশেমের সঙ্গে শেখ শফি ও টিক্কাকে মিশতে নিষেধ করেছিলেন সালাম। এর জেরে ইউনিয়ন যুবদল নেতার নেতৃত্বে গুলির ঘটনা ঘটে। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শটগানের গুলির দুটি খোসা পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।