সংবাদ শিরোনাম ::
শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকীতে রান্না করা খাবার পুলিশ হেফাজতে আজ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধুর ৫০তম মৃত্যুদিবসে কাঙালিভোজের আয়োজন, ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার কারাগারে খালেদা জিয়ার নির্যাতনকারীদের বিচার করতে হবে: আব্বাস শুল্কের জন্য ফোন দিয়ে নরওয়ের অর্থমন্ত্রীর কাছে নোবেল চাইলেন ট্রাম্প! খালে ভেসে এলো ভারতীয় নাগরিকের মাথাবিহীন মরদেহ ৩২ নম্বরে চলছে ‘কিলার হাসিনা’ গানের ভিডিও প্রদর্শন পদ্মার ৯ কেজি চিতল ২০ হাজারে বিক্রি আমাদের সংগ্রাম কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, ফ্যাসিস্ট আদর্শের বিরুদ্ধে’ ধসে পড়ল মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি, ভেতরে আটকা বহু
সংবাদ শিরোনাম ::
শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকীতে রান্না করা খাবার পুলিশ হেফাজতে আজ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধুর ৫০তম মৃত্যুদিবসে কাঙালিভোজের আয়োজন, ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার কারাগারে খালেদা জিয়ার নির্যাতনকারীদের বিচার করতে হবে: আব্বাস শুল্কের জন্য ফোন দিয়ে নরওয়ের অর্থমন্ত্রীর কাছে নোবেল চাইলেন ট্রাম্প! খালে ভেসে এলো ভারতীয় নাগরিকের মাথাবিহীন মরদেহ ৩২ নম্বরে চলছে ‘কিলার হাসিনা’ গানের ভিডিও প্রদর্শন পদ্মার ৯ কেজি চিতল ২০ হাজারে বিক্রি আমাদের সংগ্রাম কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, ফ্যাসিস্ট আদর্শের বিরুদ্ধে’ ধসে পড়ল মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি, ভেতরে আটকা বহু

৪ জনের মরদেহের পাশে পাওয়া চিরকুটে কী লেখা ছিল

রাজশাহী প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে বাসা থেকে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পাশেই পড়েছিল চিরকুট। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের। 

মৃতরা হলেন—মিনারুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী মনিরা খাতুন (৩১), ছেলে মাহিম (১৪) এবং মেয়ে মিথিলা (৩)। মরদেহের পাশে পড়ে থাকা চিরকুটে ঋণের কথা বলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনারুল ইসলাম কৃষিকাজ করেন। তার কাছে অনেকেই টাকা পাবেন। তাদের বসতবাড়ির উত্তরের ঘরে মনিরা বেগম ও তার মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে। আর দক্ষিণের ঘরে মিনারুল ইসলাম ও তার ছেলের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ছিল।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) গাজিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে। মরদেহের পাশে হাতে লেখা একটা চিঠি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটা মিনারুলের লেখা। এতে ঋণের কথা বলা হয়েছে। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে এটা কার লেখা।

চিরকুটে লেখা আছে, আমি মিনারুল নিচের যেসব লেখা লিখব, সব আমার নিজের কথা। কারণ, আমরা চারজন আজ রাতে মারা যাবো। এই মৃত্যুর জন্য কারও কোনো দোষ নেই।

এতে লেখা আছে, আমি মিনারুল প্রথমে আমার স্ত্রীকে মেরেছি। তারপর আমার মাহিমকে (ছেলে) মেরেছি। তারপর আমার মিথিলাকে (মেয়ে) মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি।

চিরকুটে আরও লেখা আছে, আমাদের চারজনের মরা মুখ যেন বাপের বড় ছেলে ও তার স্ত্রী-সন্তান না দেখে এবং বাপের বড় ছেলে যেন জানাজায় না আসে। আমাদের চারজনকে কাফন দিয়ে ঢাকতে আমার বাবা যেন টাকা না দেয়। এটা আমার কসম।

চিরকুটের আরেক পাতায় লেখা আছে, আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম, কারণ আমি একা যদি মরে যাই তাহলে, আমার স্ত্রী-সন্তানরা কার আশায় বেঁচে থাকবে? কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না। তাই আমারা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভাল হলো। কারও কাছে কিছু চাইতে হবে না। আমার জন্যে কাউকে মানুষের কাছে ছোট হতে হবে না। আমার বাবা আমার জন্য অনেক মানুষের কাছে ছোট হয়েছে, আর হতে হবে না। চির দিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

৪ জনের মরদেহের পাশে পাওয়া চিরকুটে কী লেখা ছিল

আপডেট সময় : ০৮:২৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে বাসা থেকে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে একই পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পাশেই পড়েছিল চিরকুট। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের। 

মৃতরা হলেন—মিনারুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী মনিরা খাতুন (৩১), ছেলে মাহিম (১৪) এবং মেয়ে মিথিলা (৩)। মরদেহের পাশে পড়ে থাকা চিরকুটে ঋণের কথা বলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনারুল ইসলাম কৃষিকাজ করেন। তার কাছে অনেকেই টাকা পাবেন। তাদের বসতবাড়ির উত্তরের ঘরে মনিরা বেগম ও তার মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে। আর দক্ষিণের ঘরে মিনারুল ইসলাম ও তার ছেলের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ছিল।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) গাজিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে। মরদেহের পাশে হাতে লেখা একটা চিঠি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটা মিনারুলের লেখা। এতে ঋণের কথা বলা হয়েছে। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে এটা কার লেখা।

চিরকুটে লেখা আছে, আমি মিনারুল নিচের যেসব লেখা লিখব, সব আমার নিজের কথা। কারণ, আমরা চারজন আজ রাতে মারা যাবো। এই মৃত্যুর জন্য কারও কোনো দোষ নেই।

এতে লেখা আছে, আমি মিনারুল প্রথমে আমার স্ত্রীকে মেরেছি। তারপর আমার মাহিমকে (ছেলে) মেরেছি। তারপর আমার মিথিলাকে (মেয়ে) মেরেছি। তারপর আমি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মরেছি।

চিরকুটে আরও লেখা আছে, আমাদের চারজনের মরা মুখ যেন বাপের বড় ছেলে ও তার স্ত্রী-সন্তান না দেখে এবং বাপের বড় ছেলে যেন জানাজায় না আসে। আমাদের চারজনকে কাফন দিয়ে ঢাকতে আমার বাবা যেন টাকা না দেয়। এটা আমার কসম।

চিরকুটের আরেক পাতায় লেখা আছে, আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম, কারণ আমি একা যদি মরে যাই তাহলে, আমার স্ত্রী-সন্তানরা কার আশায় বেঁচে থাকবে? কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না। তাই আমারা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভাল হলো। কারও কাছে কিছু চাইতে হবে না। আমার জন্যে কাউকে মানুষের কাছে ছোট হতে হবে না। আমার বাবা আমার জন্য অনেক মানুষের কাছে ছোট হয়েছে, আর হতে হবে না। চির দিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।