বাংলাদেশি কিশোরীকে ৩ মাস ধরে ২০০ ভারতীয়র ধর্ষণ

- আপডেট সময় : ১১:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি:সংগৃহীত
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে মানব পাচারবিরোধী অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ১২ বছরের বাংলাদেশি এক কিশোরী। মেয়েটির অভিযোগ, গত তিন মাসে তাকে ২০০-রও বেশি ব্যক্তি যৌন নির্যাতন (ধর্ষণ) করেছে।
রাজ্যের ভাসাইয়ের নাইগাঁও এলাকায় দেহব্যবসা চক্রের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানে উদ্ধার হয় ওই কিশোরী। গত ২৬ জুলাই এনজিও এক্সোডাস রোড ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ও হারমনি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মিরা-ভায়ান্দার ভাসাই-ভিরার (এমবিভিভি) পুলিশের মানব পাচারবিরোধী ইউনিট এই অভিযান পরিচালনা করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
হারমনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আব্রাহাম মাথাই বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মেয়েটি বলেছে, প্রথমে তাকে গুজরাটের নাদিয়াদ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিন মাসে ২০০ জনেরও বেশি পুরুষ তাকে যৌন নির্যাতন করেন।
আব্রাহাম মাথাই টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘এই শিশুটি এখনো কিশোর বয়সে না পৌঁছালেও নৃশংস চক্র তার শৈশব কেড়ে নিয়েছে।’
তিনি আরও জানান, স্কুলে এক বিষয়ে ফেল করায় বাবা-মায়ের কড়া শাসনের ভয়ে মেয়েটি পরিচিত এক নারীর সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সেই নারী তাকে ভারতে পাচার করে দেহব্যবসায় নামিয়ে দেন। তিনি এই শিশুর ২০০ জন নির্যাতনকারীর সবাইকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
শুল্ক উত্তেজনায় এবার ভারতজুড়ে মার্কিন পণ্য বয়কটের ডাক
রাজ্যের পুলিশ কমিশনার নিকেত কৌশিক বলেন, এমবিভিভি পুলিশ ‘পুরো নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে ও ঝুঁকিপূর্ণ কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে।
মাথাই উল্লেখ কেরেছেন, এটি একক কোনো দুঃখজনক ঘটনা নয়। প্রতিটি উদ্ধার অভিযানের পেছনে থাকে এমন এক শিশু, যার কথা শোনা হয় না। শিশুটিকে যাদের রক্ষা করার কথা প্রথমে সেই অভিভাবকরা সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে সমাজও ব্যর্থ হয়েছে। তার মতে, বাবা-মা অনেক সময় সৎ উদ্দেশ্যে কড়া শাসন করলেও অজান্তে সেখানে দেয়াল তৈরি হয়, যেখানে সেতুর প্রয়োজন ছিল।
স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী মধু শংকর বলেন, ‘আমি প্রায়ই ছোট কন্যা শিশুদের ভাশি ও বেলাপুর এলাকায় ভিক্ষা করতে দেখি। তাদের অনেককে ছোটবেলায় গ্রাম থেকে চুরি করে শহরে আনা হয় এবং পরে শোষণ করা হয়। সাধারণত এক অথবা দু’জন বয়স্ক নারী তাদের সামলায় এবং পরবর্তীতে দেহব্যবসায় নামিয়ে দেয়। এমনকি দ্রুত বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানোর জন্য তাদের হরমোন ইনজেকশনও দেওয়া হয়।