সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::

গোপালগঞ্জে প্রাণঘাতী কোনো অস্ত্রের ব্যবহার হয়নি: সেনা সদর

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১০:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি:সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে প্রাণঘাতী কোনো অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়নি, তবে সেখানে অনেকের প্রাণনাশের হুমকি থাকায় বল প্রয়োগে বাধ্য হয়েছিল বলে সেনা সদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেন জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা সেনা সদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের (স্টাফ কর্নেল) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় যে হট্টগোল হয়েছিল সেখানে গোপালগঞ্জে অনেকের জীবননাশের হুমকি ছিল। বাধ্য হয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করে। তবে সেখানে প্রাণঘাতী কোনো অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়নি। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে বিশেষভাবে দেখি নাই। গোপালগঞ্জে যেটা হয়েছে, সেটা একটি দলের অনেকের জীবননাশের শঙ্কা ছিল। জীবন বাঁচানোর জন্যই সেখানে তৎপর ছিল সেনাবাহিনী। গোপালগঞ্জে কী হয়েছিল তার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও আশা করে তিনি বলেন, বিশেষ কোনো দলের ক্ষেত্রে আমাদের আলাদা কোনো নজর নেই। আমাদের চোখে সকলেই সমান।

কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব বাহিনীকে কাজ করতে হবে, যেসব বাহিনী সর্বাগ্রে কাজ করে তাদের আরও কার্যকর হতে হবে। আমরা তল্লাশি শুরু করেছি এবং গ্রেফতার করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে ভালোভাবেই প্রটেকশন দিয়ে যাচ্ছে, অভিযানিক কার্যক্রম ভালোভাবেই সম্পন্ন করা হয়েছে সেখানে।

কর্নেল শফিকুল বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরসলভাবে কাজ করছে সেনাবাহিনী। মব ভায়োলেন্স এবং জনদুর্ভোগ তৈরি করতে পারে এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি জানান, গত ৪ সপ্তাহে ৩৭টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী, গত আগস্ট থেকে এখন পর্যযন্ত ১২ হাজার ১১৯টি হারানো অস্ত্রের মধ্যে ৯ হাজার ৭২৯ টি অস্ত্র উদ্ধার; বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪৫৯ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।

ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গোপালগঞ্জে প্রাণঘাতী কোনো অস্ত্রের ব্যবহার হয়নি: সেনা সদর

আপডেট সময় : ১০:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে প্রাণঘাতী কোনো অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়নি, তবে সেখানে অনেকের প্রাণনাশের হুমকি থাকায় বল প্রয়োগে বাধ্য হয়েছিল বলে সেনা সদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেন জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা সেনা সদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের (স্টাফ কর্নেল) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় যে হট্টগোল হয়েছিল সেখানে গোপালগঞ্জে অনেকের জীবননাশের হুমকি ছিল। বাধ্য হয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করে। তবে সেখানে প্রাণঘাতী কোনো অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়নি। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে বিশেষভাবে দেখি নাই। গোপালগঞ্জে যেটা হয়েছে, সেটা একটি দলের অনেকের জীবননাশের শঙ্কা ছিল। জীবন বাঁচানোর জন্যই সেখানে তৎপর ছিল সেনাবাহিনী। গোপালগঞ্জে কী হয়েছিল তার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও আশা করে তিনি বলেন, বিশেষ কোনো দলের ক্ষেত্রে আমাদের আলাদা কোনো নজর নেই। আমাদের চোখে সকলেই সমান।

কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব বাহিনীকে কাজ করতে হবে, যেসব বাহিনী সর্বাগ্রে কাজ করে তাদের আরও কার্যকর হতে হবে। আমরা তল্লাশি শুরু করেছি এবং গ্রেফতার করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে ভালোভাবেই প্রটেকশন দিয়ে যাচ্ছে, অভিযানিক কার্যক্রম ভালোভাবেই সম্পন্ন করা হয়েছে সেখানে।

কর্নেল শফিকুল বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরসলভাবে কাজ করছে সেনাবাহিনী। মব ভায়োলেন্স এবং জনদুর্ভোগ তৈরি করতে পারে এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি জানান, গত ৪ সপ্তাহে ৩৭টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী, গত আগস্ট থেকে এখন পর্যযন্ত ১২ হাজার ১১৯টি হারানো অস্ত্রের মধ্যে ৯ হাজার ৭২৯ টি অস্ত্র উদ্ধার; বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪৫৯ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।

ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেছে।