কুষ্টিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর ও বাড়িতে লুটপাট

- আপডেট সময় : ০৯:২৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি : সংগৃহীত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চক দৌলতপুর এলাকায় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়। এ ছাড়া তিনটি মোটরসাকেল ভাঙচুর ও একটি মাইক্রোবাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়রা জানান, চক দৌলতপুর এলাকার সাদমান আলীর ছেলে ব্যবসায়ী সানজিদের কাছ থেকে বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদা চেয়ে আসছিল একই এলাকার আকবর আলীর ছেলে জব্বার ও তার লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ জুলাই রাত ৯টার দিকে চকদৌলতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন রাস্তার মোড়ে জাব্বার ও তার লোকজন সানজিদের কাছ থেকে আবারও চাঁদা দাবি করে। সানজিদ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সানজিদের ওপর হামলা করে জব্বার ও তার লোকজন।
এর কিছুক্ষণ পর জাব্বার তার লোকজন নিয়ে সানজিদের বাড়ি থেকে নগদ টাকা গহনা ও মূল্যবান সম্পদ লুট করে এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে সানজিদের একটি এক্স নোহা মাইক্রোবাস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে দৌলতপুর থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে আগুন নেভাতে ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহলরত রয়েছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সানজিদ বলেন, আমি ব্যবসা-বাণিজ্য করি ও চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি। ৫ আগস্টের পর থেকে জাব্বার আমার নামের পূর্বে আওয়ামীলীগ ট্যাগ লাগিয়ে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমাকে মারধরসহ নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাত ৮টার কিছু পরে চক দৌলতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে রাস্তার মোড়ে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে জাব্বার মারধর করে।
পরে আমার ব্যবসায়িক পার্টনার ও আমার চাচাতো ভাই এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে ও আমাদের তিনটি মোটরসাইকেল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এমন অবস্থায় আমরা সেখান থেকে আত্মরক্ষার্থে মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে আসলে জাব্বারসহ তাদের লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে, নগদ টাকা, গহনাসহ মূল্যবান সম্পদ লুট করে এবং আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে আমার ৪২ লাখ টাকা দামের এক্স নোহা মাইক্রোবাস পুড়ে যায়। এমন ঘটনায় তিনি ও তার পরিবার চরম হুমকির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা গণমাধ্যমকে বলেন, টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়াসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।