স্ত্রীকে খুন করে ১১ টুকরো করে গ্রিল কেটে পালালেন স্বামী 

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার পাহাড়িকা আবাসিক এলাকায় ফাতেমা (৩২) এক গৃহবধূকে গলা কেটে ১১ টুকরো করে হত্যা করেছে ঘাতক স্বামী। হত্যার পর পালিয়েছে ঘাতক স্বামী। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে অক্সিজেন এলাকার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির এফজে টাওয়ারের ১০তলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান।

নিহত নারীর নাম ফাতেমা বেগম পলি (৩২)। তিনি ওই ফ্ল্যাটেই স্বামী সুমনের সঙ্গে থাকতেন। সুমনের পেশা গাড়িচালক। ফাতেমার বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে। তার বাবার নাম কামাল উদ্দিন। তাদের সিফাত নামে আট বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে।

পুলিশ জানায়, প্রতিবেশীরা রাতের দিকে ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক নড়াচড়ার শব্দ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। তখন টুকরো অবস্থায় ফাতেমা বেগমের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করছি। পরে লাশ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখা হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা বুধবার রাতে নিহত গৃহবধূর স্বামীকে ধরে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। রুমের জানালার গ্রিল কেটে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত ফাতেমা গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায় বলে জানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তবে তারা চট্টগ্রামে বসবাস করতেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্ত্রীকে খুন করে ১১ টুকরো করে গ্রিল কেটে পালালেন স্বামী 

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার পাহাড়িকা আবাসিক এলাকায় ফাতেমা (৩২) এক গৃহবধূকে গলা কেটে ১১ টুকরো করে হত্যা করেছে ঘাতক স্বামী। হত্যার পর পালিয়েছে ঘাতক স্বামী। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে অক্সিজেন এলাকার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির এফজে টাওয়ারের ১০তলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান।

নিহত নারীর নাম ফাতেমা বেগম পলি (৩২)। তিনি ওই ফ্ল্যাটেই স্বামী সুমনের সঙ্গে থাকতেন। সুমনের পেশা গাড়িচালক। ফাতেমার বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে। তার বাবার নাম কামাল উদ্দিন। তাদের সিফাত নামে আট বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে।

পুলিশ জানায়, প্রতিবেশীরা রাতের দিকে ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক নড়াচড়ার শব্দ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। তখন টুকরো অবস্থায় ফাতেমা বেগমের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করছি। পরে লাশ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখা হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা বুধবার রাতে নিহত গৃহবধূর স্বামীকে ধরে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। রুমের জানালার গ্রিল কেটে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত ফাতেমা গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায় বলে জানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তবে তারা চট্টগ্রামে বসবাস করতেন।