সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::

গভীর রাতে ভূমিধস, ১১ মাসের শিশুকে রেখে মারা গেল বাবা-মা ও দাদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
সময়ের সন্ধানে মিডিয়া লিঃ সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগৃহীত

ভারীগভীর রাতে ভূমিধস, ১১ মাসের শিশুকে রেখে মারা গেল বাবা-মা ও দাদি বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে ভারতের হিমাচল। রাজ্যটির মান্ডি জেলায় প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ ভূমিধসে নিহত হয়েছেন একই পরিবারের তিনজন। তবে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছে মাত্র ১১ মাস বয়সী এক শিশুকন্যা

গভীর রাতে যখন ভূমিধসটি হয়, তখন শিশুটি ঘুমিয়ে ছিল। সকালে তাকে একা বাড়ির ভেতর পাওয়া যায়। সোমবার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে গত সপ্তাহে রাত প্রায় ১টার দিকে। প্রবল বর্ষণের কারণে রামেশ কুমার, তার স্ত্রী রাধা দেবী ও মা পুনম দেবী বাড়ির ভেতরে পানি ঢোকার বিষয়টি সামাল দিতে বাইরে বের হয়েছিলেন। তখনই হঠাৎ ভূমিধস নামে এবং তিনজনই ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে মারা যান।

পরে পাহাড়ের নিচে থাকা ওই বাড়িতে ছুটে আসেন আশপাশের প্রতিবেশীরা। রাত প্রায় ২টার দিকে তারা এসে দেখতে পান কেবল শিশুটি বেঁচে আছে, সে একা ঘরের ভেতর ঘুমাচ্ছে।

শিশুটির চাচা জানান, গত কয়েকদিনে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে, পরিবার সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, আমরাই ওকে মানুষ করব, কাউকে দেব না।

হিমাচল রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এসডিএমএ জানায়, ২০ জুন থেকে শুরু হওয়া দুর্যোগে হিমাচল প্রদেশে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা ও প্রবল বৃষ্টিতে মারা গেছেন ৫০ জন; আর ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্যোগজনিত সড়ক দুর্ঘটনায়।

এ ছাড়া রাজ্যজুড়ে এখন পর্যন্ত ২৩টি আকস্মিক বন্যা, ১৯টি ক্লাউডবার্স্ট এবং ১৬টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্ডি জেলা, সেখানে ১৫৬টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর রাজ্যের ১০টি জেলায় আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গভীর রাতে ভূমিধস, ১১ মাসের শিশুকে রেখে মারা গেল বাবা-মা ও দাদি

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

ছবি সংগৃহীত

ভারীগভীর রাতে ভূমিধস, ১১ মাসের শিশুকে রেখে মারা গেল বাবা-মা ও দাদি বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে ভারতের হিমাচল। রাজ্যটির মান্ডি জেলায় প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ ভূমিধসে নিহত হয়েছেন একই পরিবারের তিনজন। তবে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছে মাত্র ১১ মাস বয়সী এক শিশুকন্যা

গভীর রাতে যখন ভূমিধসটি হয়, তখন শিশুটি ঘুমিয়ে ছিল। সকালে তাকে একা বাড়ির ভেতর পাওয়া যায়। সোমবার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে গত সপ্তাহে রাত প্রায় ১টার দিকে। প্রবল বর্ষণের কারণে রামেশ কুমার, তার স্ত্রী রাধা দেবী ও মা পুনম দেবী বাড়ির ভেতরে পানি ঢোকার বিষয়টি সামাল দিতে বাইরে বের হয়েছিলেন। তখনই হঠাৎ ভূমিধস নামে এবং তিনজনই ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে মারা যান।

পরে পাহাড়ের নিচে থাকা ওই বাড়িতে ছুটে আসেন আশপাশের প্রতিবেশীরা। রাত প্রায় ২টার দিকে তারা এসে দেখতে পান কেবল শিশুটি বেঁচে আছে, সে একা ঘরের ভেতর ঘুমাচ্ছে।

শিশুটির চাচা জানান, গত কয়েকদিনে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে, পরিবার সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, আমরাই ওকে মানুষ করব, কাউকে দেব না।

হিমাচল রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এসডিএমএ জানায়, ২০ জুন থেকে শুরু হওয়া দুর্যোগে হিমাচল প্রদেশে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা ও প্রবল বৃষ্টিতে মারা গেছেন ৫০ জন; আর ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্যোগজনিত সড়ক দুর্ঘটনায়।

এ ছাড়া রাজ্যজুড়ে এখন পর্যন্ত ২৩টি আকস্মিক বন্যা, ১৯টি ক্লাউডবার্স্ট এবং ১৬টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্ডি জেলা, সেখানে ১৫৬টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর রাজ্যের ১০টি জেলায় আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করেছে।