ছবি:সংগৃহীত

বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশে হাত-পা বেঁধে পলিথিনে মুড়িয়ে ফেলে যাওয়া গৃহবধূ অপহরণের শিকার হয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য ভোলা যাওয়ার পথে এ অপহরণের ঘটনা ঘটে।

রোববার (২৯ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।

ওই নারীর দেওয়া জবানবন্দির বরাতে জানা যায়, বরিশাল রূপাতলী গ্যাসটারবাইন এলাকার বাসিন্দা নারীর স্বামী ভোলায় ব্যবসা করেন। ভোলার বাসায় যাওয়ার জন্য শনিবার বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে বরিশাল নৌবন্দরে যান। বন্দরে পৌঁছার আগেই ভোলাগামী লাস্টট্রিপ লঞ্চ ছেড়ে যায়। লঞ্চ ধরার জন্য চরকাউয়া খেয়া পার হয়ে গাড়িযোগে সন্ধ্যার পরে লাহারহাট লঞ্চঘাটে পৌঁছান।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর চেষ্টা ছিল বরিশাল থেকে মিস করা লঞ্চটি লাহারহাট লঞ্চঘাটে পাবেন এবং তাতে চড়ে ভোলা স্বামীর বাসায় যাবেন। দুর্ভাগ্য তিনি লাহারহাট লঞ্চঘাটে পৌঁছার আগে সেখান থেকেও লঞ্চটি ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। শেষে বাসায় ফেরার জন্য লাহারহাট থেকে রূপাতলীর উদ্দেশে রওনা হন। গৃহবধূর বর্ণনা অনুসারে ধারণা করা হচ্ছে, চরকাউয়া জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে গাড়িতে তুলে তাকে অপহরণ করা হয়।

ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর শরীরে ফোসকা দেখা গেছে। এসিড মারা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত না। তবে অন্য কোনো রাসায়নিকও নিক্ষেপ করা হতে পারে। যেহেতু নারী খুবই অসুস্থ, তাই তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা বলতে পারছেন না। ডাক্তাররা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ভুক্তভোগী নারী কিছুটা সুস্থ হলে বিস্তারিত ঘটনা জানা যাবে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। যদিও ধারণা করছি, শনিবার রাত ৯টার মধ্যে তিনি অপহরণের শিকার হন। এরপরে নারীকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে কী কী ঘটেছে এবং কারা এই ঘটনায় জড়িত তা উন্মোচনে কয়েক স্তরে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এর আগে, বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের তালুকদারহাট এলাকা থেকে মাঝবয়সী গৃহবধূর হাত-পা বাধা, পলিথিনে মোড়ানো নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বর্তমানে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।